মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:২৩ পিএম
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৪৯ পিএম
বঙ্গোপসাগরের মান্দারবাড়িয়ায় ‘এফবি মা’ নামে একটি মাছের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ১৭ জেলে তিন দিন ধরে ভাসছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড স্টেশন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মাসুদুর রহমান মোড়ল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তথ্য পেয়েছি এবং তাদের উদ্ধারের জন্য মোংলা কোস্ট গার্ডের সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। বঙ্গোপসাগরের যে এলাকায় ট্রলারটি বিকল হয়েছে সেই এলাকা বাগেরহাটের অধীন। তাই মোংলা কোস্ট গার্ড স্টেশন তাদের সন্ধান শুরু করেছে এবং একাধিক টিম কাজ করছে।‘
উপকূলের জেলে মহাজন গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, পাথরঘাটার বাদুরতলা গ্রামের ছালাম দোকানদারের মালিকানাধীন ‘এফবি মা’ ট্রলারটি ১৭ জন জেলে নিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর পাথরঘাটা থেকে সাগরে যাত্রা করে। ছেড়ে যাওয়ার দুদিন পরে ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এটি এখন বঙ্গোপসাগরের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। ট্রলারের মাঝি জামাল মিয়া গতকাল সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে তাকে এই খবর দেয়। এর পরপরই নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ট্রলারে থাকা জেলেদের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এর ফলে সাগর উত্তাল রয়েছে। এতে মাছ ধরতে পারছে না জেলেরা। এই অবস্থায় জানমালের ক্ষতি এড়াতে মৎস্যজীবীরা সুন্দরবন উপকূলে আশ্রয় নিয়েছেন।
চলতি ইলিশ আহরণ মৌসুমের শেষ ভাগে এসে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করলেও এ দুর্যোগের কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। লঘুচাপের কারণে বুধবার সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি ও হালকা-মাঝারি ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে মোংলাসহ সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে।
বাগেরহাটের শরণখোলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার কবির হাওলাদার বলেন, ’একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ অপরদিকে সাগর ও সুন্দরবনে দফায় দফায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞায় আমরা জেলেরা এখন একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছি। আর দুর্যোগ তো আমাদের পেছনে লেগেই আছে। যখনোই ইলিশ ধরা পড়া শুরু করে, তখনোই দুর্যোগ হানা দেয়। এ বছর আর লোকসান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না।’