অবৈধ দখল
সদরপুর-চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৬ পিএম
প্রবহমান খালে বাঁধ দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির রাস্তা। প্রবা ফটো
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের বড় গাজীটেক গ্রামের সরকারি খাল দখল করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রামের প্রধান সড়ক ঘেঁষে দুই বছর ধরে বাড়ি নির্মাণ করছেন জাহাঙ্গীর কবির বেপারী। বাড়িতে যাতায়াতের জন্য খাল দখল করে রাস্তা নির্মাণ করছেন তিনি। জাহাঙ্গীর কবির উপজেলার চর হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই বছর আগে জাহাঙ্গীর কবির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলার বড় গাজীরটেক গ্রামের খালের অপর পারে নতুন একটি বসতবাড়ির নির্মাণকাজ শুরু করেন। ওই বাড়িতে যাতায়াতের জন্য খালটি মাটি দিয়ে ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করেন। এতে খালের পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খালের আশপাশের জমিতে সেচ সমস্যা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন শত শত কৃষক। বাড়ি নির্মাণকালে উপজেলা প্রশাসন খালটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য বলে। তখন চেয়ারম্যান বদ্ধ খাল পয়েন্টে নিজ খরচে কালভার্ট নির্মাণ করে দেবেন বলে উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) কর্মকর্তাকে আশ্বাস দেন। কিন্তু গত দুই বছরেও কালভার্ট নির্মাণ করেননি।
ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, ওই খালের পানি দিয়ে বর্ষা মৌসুমে আশপাশের পাঁচটি গ্রামের ফসলি জমিতে সেচ দেওয়া হতো। খালসংলগ্ন গ্রামগুলো হলোÑ উপজেলার বড় গাজীরটেক গ্রাম, ছোট গাজীরটেক গ্রাম, চরসর্বান্দিয়া গ্রাম, চরসুলতানপুর গ্রাম ও দোপাডাঙ্গী। পানি চলাচলের ফলে গ্রামগুলোর জমির উর্বরতা বৃদ্ধি, পাট জাগ, সেচসুবিধা ও এলাকায় মৎস্য প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ত। কিন্তু দুই বছর ধরে খালটির মাঝপয়েন্ট বন্ধ থাকায় সেচকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন, হারিয়ে যাচ্ছে জলজ জীববৈচিত্র্য। কৃষকদের দাবি খালটি উন্মুক্ত করার।
অভিযোগের বিষয়ে জানলে চাইলে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির বেপারী বলেন, ‘বাড়িতে যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণের সময় দুটি পাইপ বসানো হয়েছে। পানি যেতে সমস্যা হচ্ছে না। তাছাড়া এ খালের কোনো নাব্যতা নেই।’ সরকারি বা প্রবহমান খাল দখল করে ব্যক্তিগত চলাচলের রাস্তা নির্মাণ করা যায় কি নাÑ এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
ইউএনও মেহেদী মোর্শেদ বলেন, ‘এখানে নতুন যোগদান করেছি। আপনার কাছেই বিষয়টা শুনলাম। খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।’