সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:২৬ এএম
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:০২ পিএম
সংগৃহীত ফটো।
নদীপথে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বড় তিন শুল্কস্টেশন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলিতে চুনাপাথর-কয়লা পঞ্চম দিনের মতো বিক্রি এবং পরিবহন বন্ধ রেখেছে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ। এতে কর্মহীন দিন কাটছে অন্তত ২০ হাজার শ্রমিকের।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের অফিসে সংগঠনের জরুরি সভায় এমন তথ্য জানানো হয়। সভায় নদীপথে চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখা হবে বলে জানান আমদানিকারকরা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএর সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা সুব্রত রায়, তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অমল কর, কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের উপদেষ্টা রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার, সিনিয়র সহসভাপতি ফরিদ গাজী, অর্থ সম্পাদক মো. জাহের আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়েরসহ কমিটির অন্যান্য সদস্য ও নেতারা।
এ সময় তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার বলেন, কয়লা চুনাপাথর পরিবহনের সময় পাটলাই নদীতে চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন নৌকা ও বাল্কহেড চালকরা। এতে নদীপথে পণ্য পরিবহনের ব্যয় বাড়ছে। বিআইডব্লিউটিএ ও উপজেলা প্রশাসনের খাস কালেকশনের নামে এই চাঁদা আদায় করা হয়। যতদিন এই বেপরোয়া চাঁদা আদায় বন্ধ না হবে ততদিন কয়লা চুনাপাথর বিক্রি ও বহন বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা সুব্রত রায় বলেন, নদীপথে বিআইডব্লিউটিএর ইজারাদার বেশি টোল আদায় করতে পারবে না। তাদেরকে বিষয়টি বলে দেওয়া হয়েছে। তবু যদি তারা অতিরিক্ত টোল আদায় করে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে। উপজেলা প্রশাসনের খাস কালেকশনের নামে অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়টি তাদের আওতাভুক্ত নয় বলে জানান তিনি।