চাঁদপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৩৬ পিএম
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১৯ পিএম
চাঁদপুর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের স্বর্ণখোলার হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে পাঁচতলা দুটি ভবন। প্রবা ফটো
চাঁদপুর শহরের স্বর্ণখোলা কলোনির হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য তৈরি করা হচ্ছে দুটি ৫ তলা ভবন। ৮৮ পরিবারের জন্য থাকছে আলাদা আলাদা ফ্ল্যাট। যাদের এ ভবনে স্থানান্তর করা সম্ভব হবে না, তাদের জন্য পরবর্তীতে জায়গা খালিসাপেক্ষে তৈরি করা হবে আরও ২টি ভবন।
গত রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) স্বর্ণখোলায় নতুন ভবনের কাজ পরিদর্শনে এ কথা জানালেন ইউএনডিপি কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান।
চাঁদপুর পৌরসভা ও ইউএনডিপি সূত্রে জানা যায়, সরকারের অর্থায়নে শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের স্বর্ণখোলার হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য ৫ তলাবিশিষ্ট ২টি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ভবনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে ইউএনডিপি, এলজিইডি ও চাঁদপুর পৌরসভা।
হরিজন সম্প্রদায়ের আকাশ, বিপ্লব, খোকনসহ একাধিক হরিজন জানান, নতুন ভবন তৈরি হওয়ায় তারা খুব খুশি। তাদের জন্য রান্নাঘর ও টয়লেট সংযুক্ত একটি এক কক্ষের ফ্ল্যাট বরাদ্দ হচ্ছে। তবে ফ্ল্যাটগুলোতে যদি ২ কক্ষসহ রান্নাঘর, টয়লেট সুবিধা থাকত, তাহলে ধর্মীয় আচার পালন ও ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনায় বেশি সুবিধা হতো।
ইউএনডিপির প্রকল্প ম্যানেজার আব্দুল হান্নান বলেন, নারী নেতৃত্বে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কাজের অংশ হিসেবে হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য স্বল্প ব্যয়ে আবাসন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ভবন দুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মিত ২টি ভবনের ৮৮ ফ্ল্যাট ৮৮টি পরিবারের মাঝে হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া এ ভবন দুটিতে যাদের স্থানান্তর করা হবে না, তাদের জন্য বর্তমান জায়গা খালি করাসাপেক্ষে আরও ২টি নতুন ভবন তৈরির কাজ পরে হাতে নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশন হতে এখানে ইউএনডিপি কর্তৃক অর্থায়ন করা হলেও এই ভবন দুটির বর্ধিত কাজসহ মোট প্রায় ১০ কোটি টাকার পুরোটাই বর্তমান সরকার দিচ্ছে। পরিচ্ছন্ন পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি রুমের সাইজ ১৩ ফুট বাই ১০ ফুট হবে। ভবনের নিচতলায় বিয়ের জন্য কমন স্পেস, ২ তলায় ১২টি পরিবার ও ৩ তলায় ৮টি পরিবার রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। মরদেহ রাখার জন্য থাকবে একটি কমন স্পেস।
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি এলআইইউপিসি প্রজেক্টের মাধ্যমে হলেও সম্পূর্ণ বর্তমান সরকারের অর্থায়ন এটি তৈরি হচ্ছে। একটি ভালো ও উন্নত পরিবেশে প্রথম পর্যায়ে ৮৮ ফ্ল্যাটে তাদের স্থানান্তর করতে সক্ষম হব। আশা করছি, সারা দেশের পৌরসভাগুলোর মধ্যে চাঁদপুর পৌরসভা সবার আগে এই ভবন নির্মাণকাজ সমাপ্ত করবে।
তিনি আরও বলেন, ভবন তৈরির এই নকশাটা পৌরসভা করেনি, প্রজেক্টের মাধ্যমে তৈরি করা। এছাড়া হরিজন সম্প্রদায়ের থাকার পরিবেশকে আরও উন্নত করতে কমিউনিটি সেন্টার, শিশু-কিশোরদের জন্য পার্কসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে।
গত ২০২২ সালের আগস্টে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এইচই রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন ও তার প্রতিনিধিদল চাঁদপুরে এসে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের একটি প্রকল্প পরিদর্শন করেছিলেন।