সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:০৭ পিএম
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:০৩ পিএম
সুনামগঞ্জ তাহিরপুর পাটলাই নদী। ছবি : সংগৃহীত
তাহিরপুরের উত্তরশ্রীপুরে পাটলাই নদীর দুই পাড়ে বিআইডব্লিউটিএ অনুমোদিত কোনো ঘাট নেই। তারপরও প্রতিবছর নিলামের মাধ্যমে ইঞ্জিনচালিত নৌকা বা বাল্কহেড থেকে টোল আদায়সহ খাস কালেকশনের নামে চলছে চাঁদাবাজি।
গত রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এমন অভিযোগে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের কর্মকর্তারা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বৃহৎ তিনটি শুল্ক স্টেশন বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলী দিয়ে আমদানিকারকরা ভারত থেকে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি করে দেশের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ করে আসছেন। এই পণ্যগুলো একমাত্র নৌপথেই দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হয়। গত কয়েক মাস ধরে তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের পাটলাই নদীর ডাম্পের বাজার ও শ্রীপুর বাজার, এই দুটি জায়গা থেকে খাস কালেকশন এবং বিআইডব্লিউটিএ’র নামে নৌকাশ্রমিক ও ব্যবসায়ীগণ বেপরোয়া চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন। কয়লা ও চুনাপাথর বোঝাই প্রতিটি নৌকা হতে খাস কালেকশনের নামে বিনা রসিদে দুটি স্থানে প্রতি নৌকা থেকে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা এমনকি তারও অধিক।
এ ছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ’র নামে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অথবা রসিদ চাইলে তারা বলে ‘কোনো রসিদ নাই, রসিদ ছাড়াই টাকা দিতে হবে’ অন্যথায় শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। এ কারণে কয়লা ও চুনাপাথর পরিবহনের নৌকাগুলো এই নদীতে প্রবেশ করতে চায় না। যার ফলে আমদানিকারকরা তাদের আমদানিকৃত পণ্যগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করতে পারছেন না। ক্রেতাগণও এই তিন শুল্ক স্টেশন থেকে কয়লা ও চুনাপাথর ক্রয় করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে আমদানি ব্যবসাতে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা, সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, সাবেক আহ্বায়ক শামসুল হক, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অমল কর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল হক, ফরিদ গাজী, ছিদ্দিক মিয়া, জাহের আলী, নুর মিয়া, আবুল খায়ের, হাছান মিয়া, বাগলী সমিতির সভাপতি খালেক মোশাররফ, সাবেক সভাপতি শাহজাহান খন্দকার, নুরুজ্জামান, আলী হোসেন প্রমুখ।