বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৫৫ এএম
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:০৭ পিএম
সংগৃহীত ছবি।
নাটোর পল্লী সমিতি-১-এর আওতাভুক্ত বাগাতিপাড়া সাব-জোনাল অফিসের ভুতুড়ে বিল দেখে গ্রাহকদের চোখ কপালে উঠেছে। মিটারে ব্যবহৃত ইউনিট না দেখেই করা হচ্ছে অতিরিক্ত বিল। আবার অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ করলে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। সঠিক সময়ে বিল পরিশোধ না করলে সংযোগ বিচ্ছিন্নের উৎকণ্ঠা।
উপজেলা সাব-জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার বৈদ্যুতিক মিটার সংযোগ রয়েছে। গ্রাহকদের ব্যবহৃত মাসিক বৈদ্যুতিক রিডিং সংগ্রহকারী মিটার রিডার আছেন ১৪ জন। এদের সবাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, যা চাহিদার চেয়ে কম। ২০২৩ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত বৈদ্যুতিক ইউনিটে প্রতি মাসে অফিস কর্তৃক গড়ে ১০ শতাংশ সিস্টেম লস দেখানো হলেও আগস্ট মাসের সিস্টেম লসের পরিমাণ দেখাতে পারেনি।
প্রায় প্রতিদিনই নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ বাগাতিপাড়া সাব-জোনাল অফিসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা। এতে একদিকে বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তারা যেমন বিপাকে পড়ছেন তেমনি গ্রাহকদের মাঝেও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নে বড়পুকুরিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আমজাদ হোসেন জানান, গত জুলাই মাসে তার মিটার রিডিং আসে ১১৫ ইউনিট। যাতে বিল এসেছে ৭০৮ টাকা। আগস্ট মাসে এক লাফে মিটার রিডিং এসেছে ৫৭০ ইউনিট। যার মোট বিল ৫ হাজার ৮৮৯ টাকা। হঠাৎ করে এ বিল দেখে তো তিনি হতবাক। অফিসে জানালে তারা জানায় বিদ্যুৎ খরচ বেশি, তাই বিল বেশি।
বাগাতিপাড়া পৌরসভার পেড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে আবুল হোসেন বলেন, গত জুলাই মাসে ১১৫ ইউনিট বিদ্যুতের রিডিং এসেছে, যার মোট বিল ৭০৮ টাকা এবং আগস্ট মাসে মিটার রিডিং এসেছে ৪৬০ ইউনিট, যার মোট বিল ৪ হাজার ৪৮৬ টাকা। মিটার রিডিং না দেখেই এমন বিল করা হয়েছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর বিলিং সুপারভাইজার জিন্নাতার বলেন, প্রায় প্রতিদিনই দুই-একজন অতিরিক্ত বিলের মৌখিক অভিযোগ করেছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মিটার রিডিংয়ের সঙ্গে বিদ্যুৎ বিলের রিডিংয়ে অমিল পাওয়া যায়নি।
বাগাতিপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) মনজুর রহমান বলেন, ‘গ্রাহকরা বেশি বিদ্যুতের ব্যবহার করছেন, তাই মিটার রিডিং বেশি আসছে। সমস্যা মনে করলে মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন করে মিটার পরিবর্তন করাও সম্ভব। আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে এবং আমরা তা খতিয়ে দেখছি। যদি কারও রিডিংয়ে সমস্যা হয় তো পরবর্তী বিলে সেটা ঠিক করে দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১০-এর ৪নং এলাকার পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, বিদ্যুৎ বিল বেশি ওঠায় অনেক গ্রাহক অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। আগামী বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি আলোচনা করা হবে।