নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:১০ পিএম
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:৩৫ পিএম
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরের সহায়তা কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব কান্নি উইগনারাজাসহ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে ভাসানচর পরিদর্শন শেষে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরআরসি) কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এ সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
এ সময় অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (ভাসানচর) মো. মাহফুজার রহমান (উপসচিব), ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম, ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের পিডি ক্যাপ্টেন মো. হাবিব-উল-আলম, ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ডিপিডি কমান্ডার মোহাম্মদ আনোয়ারুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব কান্নি উইগনারাজা বলেন, ভাসানচর অনেক গোছানো ও পরিপাটি। এখানে চলমান মানবিক সহায়তা কার্যক্রমসমূহ সন্তোষজনক। এসব কার্যক্রম অত্যন্ত গোছানো এবং ভাসানচর রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য উপযোগী।
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (ভাসানচর) মো. মাহফুজার রহমান (উপসচিব) বলেন, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব কান্নি উইগনারাজাসহ ৯ সদস্যের একটি দল ভাসানচর পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিধিদল প্রথমেই অতিরিক্ত শরণার্থী, এাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে একটি মতবিনিময় সভায় মিলিত হন, সেখানে আমি ভাসানচর সম্পর্কে একটি চিত্র তুলে ধরি। পরে প্রতিনিধিদল ব্র্যাক ও প্রত্যাশী কর্তৃক পরিচালিত লাইভলিহুড কার্যক্রম, বর্জব্যবস্থাপনা কার্যক্রম, ২০ শয্যার সরকারি হাসপাতাল এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি পরিচালিত ই-ভাউচার শপের কর্মসূচি পরিদর্শন করেন।
তিনি জানান, পরিদর্শন করে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব কান্নি উইগনারাজাসহ প্রতিনিধিদল ভাসানচরের সহায়তা কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ভাসানচর পরিপাটি ও থাকার উপযোগী বলে মন্তব্য করেন। প্রতিটি স্থানে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেই এমন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। শেষে তারা বিমানবাহিনীর একটি বিমানে ভাসানচর ত্যাগ করেন।
এর আগে রবিবার জাতিসংঘ প্রতিনিধিদল সেলিমবাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় বিভিন্ন জেলে পরিবারের সুযোগসুবিধা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সমস্যা ও সম্ভাবনার গল্প শোনেন। এ সময় জেলেরা শিক্ষা, চিকিৎসা ও যাতায়াত নিয়ে নানা সমস্যা তুলে ধরেন।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, জেলেরা নদী ভাঙনের কথা জানান এবং তাদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধার কথা প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছেন। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে কাঙ্ক্ষিত জীবনমানের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।