মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৩ পিএম
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:২৪ পিএম
বনগ্রাম ইউনিয়নের ভিটিপাড়া এবং পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের আদর্শপাড়ার লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জের পুলেরঘাটে কাবাডি খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই গ্রামবাসীর
সংঘর্ষ হয়েছে। পরে সেই সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ জড়িয়ে পড়ে। ৩ ঘণ্টাব্যাপী ওই
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে থেমে থেমে
বিকেল ৩টা পর্যন্ত গচিহাটা সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট স্থানীয়ভাবে
কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়। খেলায় কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের ভিটিপাড়া
এবং পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের আদর্শপাড়ার লোকজনদের মারামারি হয়।
ওই বিরোধের জেরে শুক্রবার রাতে দুপক্ষের মধ্যে
আবারও মারামারি হয়।
পরে শনিবার সকালে ওই বিরোধ নিষ্পত্তিতে সালিশের আয়োজন করা হয়। এতে
স্থানীয় এমপি নূর মোহাম্মদের অনুসারী আলম ও একই আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক অতিরিক্ত
ডিআইজি আব্দুল কাহহার আকন্দের গ্রুপের জামানের নেতৃত্বে সালিশের আগেই দুপক্ষ দেশীয়
অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাইরকাদি-নয়াপাড়া-ভিটিপাড়া ও আদর্শপাড়া-পুলেরঘাট
গ্রামবাসীর মধ্যে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ থেমে থেমে প্রায় ৩ ঘণ্টা
এ সংঘর্ষ চলে।
সংঘর্ষ চলাকালে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাটসহ পুলেরঘাট-গচিহাটা
সড়কে যাহবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
আনে।
মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল কাহহার আকন্দের অনুসারী
জামান বলেন, অনেক কিছুইতো বলা যায় না। প্রথমে খেলা নিয়েই মারামারি হয়। পরে তারা রাজনৈতিক
প্রতিপক্ষ হিসেবে এমপি নূর মোহাম্মদের অনুসারী আলমের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করে।
এতে আমাদের ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের
অনুসারী আলমের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে তার মোবাইলে কল করা হলে তিনি সংযোগটি কেটে দেন।
পাকুন্দিয়া আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান,
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি
শান্ত রয়েছে।