ঝালকাঠি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:০৬ পিএম
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:৪৩ পিএম
ঝালকাঠি থানা। ছবি : সংগৃহীত
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই জাল করে ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান ওরফে মিলনসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৫-৬ জনকে।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার রাতে ঝালকাঠি সদর থানায় মাসুদ সিকদার নামে এক যুবলীগকর্মী এ মামলা করেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন, মিলন হাওলাদার , তরিকুল ইসলাম , মো. মনিরুজ্জামান, শাখাওয়াত হোসেন, মো. মরিয়াজ হাওলাদার, আল আরাফাত, আসাদুজ্জামান তালুকদার, আলীম আল রজিব, মাহমুদুল সাগর, মোহাম্মদ রনি হাওলাদার ও বশির আহম্মেদ খলিফা। আসামিদের অধিকাংশই জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক নেতাকর্মী।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সীল ও সই নকল করে জেলা যুবলীগের ২২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেন। গত ৬ সেপ্টম্বর শহরের ডাক্তার পট্টি এলাকায় মামলার বাদী বিষয়টির কারণ জানতে চাইলে এক নম্বর আসামি সৈয়দ হাদিসুর রহমানসহ আসামিরা বাদীকে কিল-ঘুষি দিয়ে আহত করেন। পরে বাদী বিষয়টি আহ্বায়ক রেজাউল করিম ও যুগ্ন আহবায়ক কামাল শরীফকে জানান। তারা কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন এ ধরনের কোনো কমিটি অনুমোদন হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় রেজাউল করিমকে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমানকে। তার আগে থেকে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন মো. কামাল শরীফ। পরে এ নিয়ে শহরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ শহরে উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগে সৈয়দ হাদিসুর রহমানের অনুসারী ৮ জনকে আটক করে পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে গত বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপদপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেনের সই করা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিমের কাছে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আপনাদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ঝালকাঠি জেলা শাখার কোনো কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কমিটি ছড়ানো হয়েছে সেটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। যারা এই গুজব ও অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
এ বিষয়ে জেলা সৈয়দ হাদিসুর রহমান বলেন, ‘আমাকে জড়িয়ে যে প্রচার চালানো হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। কুচক্রি মহল আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার নোংরা খেলায় মেতেছে। তাদের স্বার্থ আদায়ের জন্য আমাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম বলেন, ‘একটি কমিটির তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি সম্পূর্ণ ভূয়া। এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিভ্রান্তি দূর করা হয়েছে।’