বাগেরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০০ পিএম
বাগেরহাটে পশুর নদীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে নৌ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রবা ফটো
বাগেরহাটে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে নৌ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘কয়লা-গ্যাস-হাইড্রোজেন নয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে অর্থায়ন চাই’- স্লোগানে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পশুর নদীতে বাংলাদেশের প্রতিবেশ ও উন্নয়নবিষয়ক কর্মজোট (বিডাব্লিউজিইডি), মোংলা নাগরিক সমাজ ও ক্লিন খুলনার যৌথ আয়োজনে এ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন মোংলা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক নূর আলম শেখ, নারীনেত্রী কমলা সরকার, পরিবেশকর্মী রাকেশ সানা, আব্দুর রশিদ হাওলাদার, মার্টিন সরকার, ফাতেমা জান্নাত, জলবায়ু যোদ্ধা সুষ্মিতা মণ্ডল, তন্বী মণ্ডল, মেহেদী হাসান বাবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৮২ শতাংশই গ্যাস, কয়লা ও ডিজেলভিত্তিক এবং এর অধিকাংশই আমদানিনির্ভর। এই গ্যাস যাদের কাছ থেকে আমদানি করতে হয়, তাদের অধিকাংশই জি-২০-ভুক্ত দেশ। এই গ্যাস, কয়লা ও তেলভিত্তিক জ্বালানিতে দেশের বিপুল পরিমাণ ডলার ব্যয় হয়, যা আমাদের মতো দেশকে আরও দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দেশের আর্থিক দুরবস্থাকে উন্নতি করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
তারা আরও বলেন, গত ১৫ বছরে ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে এ বছরের প্রথম তিন মাসে বাড়ানো হয়েছে তিনবার। অন্যদিকে বসে বসে কেন্দ্র ভাড়া পাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। গত সাড়ে ১৪ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভাড়ার পেছনে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার ৯২৭ কোটি টাকা। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিদ্যুৎ খাতের এই হরিলুট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।