পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:৪১ পিএম
চট্রগ্রামের কর্ণফুলীতে ঐতিহাসিক পন্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে কাজ এলাকা পরিদর্শন করছে প্রত্নতত্ত বিভাগ। প্রবা ফটো
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে খননকাজ শুরু করতে যাচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার বড় উঠানের দেয়াঙ পাহাড়ের ঐতিহাসিক বিশ্বমড়া এলাকায় ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে খননকাজ উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক চন্দন কুমার দে।
এদিকে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের পর ওই জায়গায় জাদুঘর স্থাপন হবে বলে জানিয়েছেন জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের উপপরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান।
ইতিহাস গবেষকদের মতে, কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ও জুলধা এলাকাজুড়ে সপ্তম-অষ্টম শতকে পণ্ডিত বিহার নামে একটি জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র গড়ে ওঠে। ষোড়শ শতকের দিকে সেটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। এর মধ্যে প্রত্নতাত্ত্বিক টিম ঐতিহাসিক ওই স্থান একাধিকবার সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ভাষা বিভাগের অধ্যাপক জিনবোধি ভিক্ষু, নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা কামাল মাত্রা, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ জামাল উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি মাদল চন্দ্র বডুয়াসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে খননকাজের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের প্রতিনিধিরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ। এ সময় সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও অনুসন্ধান কাজ পরিচালনা করার বিষয়ে সহযোগিতা করার বিষয়ে মত দেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পীযূষ কুমার চৌধুরী, জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের উপপরিচালক ড. মো. আতাউর রহমান, ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. শাহীন আলম, প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের গবেষণা সহকারী মো. নিয়াজ মাগদুম ও সার্ভেয়ার চাই থোয়াই মারমা।