কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:২১ পিএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:৪৫ পিএম
কুশপুত্তলিকা দাহ করছে জাপার পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। প্রবা ফটো
কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও সদস্য সচিব মেজর (অব.) আব্দুস সালামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। তারা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এ সময় কমিটি বাতিলেরও দাবি জানান তারা।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার রাজারহাট সরকারি মীর ঈসমাইল হোসেন কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সোনালী ব্যাংক চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেন।
ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা স্লোগান দেন- ‘জাতীয় পার্টি নিয়ে ষড়যন্ত্র মানি না মানব না, অবৈধ ও পকেট কমিটি মানি না মানব না, অবিলম্বে অবৈধ কমিটি বাতিল কর, করতে হবে।’ একপর্যায়ে তারা জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও সদস্য সচিব মেজর (অব.) আব্দুস সালামের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
এদিকে দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ করায় অচল হয়ে পড়ে রাজারহাট শহর। শুরু হয় ব্যাপক যানজট। এ সময় বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী-চালকসহ পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েন।
সমাবেশে বক্তব্য দেনÑ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন, সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াহেদ সরকার, বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির শাহ আলম চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘জাতীয় পার্টির হাইব্রিড নেতা আব্দুস সালাম সুযোগসন্ধানী। ভোট এলেই তিনি ষড়যন্ত্র শুরু করেন। পাঁচ বছরে একদিনও আমাদের খোঁজ না নিলেও তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়ে সদস্য সচিবের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। আমরা এই ষড়যন্ত্র মানি না, মানব না।’
তারা আরও বলেন, ‘জেলা কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক নিজে সাংগঠনিক কাজে নিষ্ক্রিয়। তিনি যাকে সদস্য সচিব হিসেবে মনোনীত করেছেন তিনিও নিষ্ক্রিয়। এটি পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টি ধ্বংসের ষড়যন্ত্র। ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের পদবঞ্চিত করায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খেসারত দিতে হবে। অবিলম্বে ত্যাগীদের দলে ভিড়িয়ে কুড়িগ্রাম-২ আসন জাতীয় পার্টির ঘরে তুলতে হবে।’
জাপার উপজেলা শাখার সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াহেদ সরকার বলেন, ‘রাজারহাট জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। অথচ এখানকার তৃণমূল নেতৃবৃন্দকে পদবঞ্চিত করে কমিটি করা হয়েছে। যাদের ত্যাগ এবং ভালোবাসায় দল সংগঠিত তারা বঞ্চিত হলে তো আন্দোলন করবে, এটাই স্বাভাবিক। তৃমূলের এই দাবি কেন্দ্রীয় নেতারা বিশেষভাবে বিবেচনা করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’
এ ব্যাপারে জানতে জেলা একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও আব্দুস সালামকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।