হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বানরটির অবস্থা ভালোর দিকে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিজ থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বানরটির অবস্থা ভালোর দিকে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। সোমবার থেকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে বানরটির চিকিৎসা চলছে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আজ চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা শেষে সন্ধ্যার দিকে আমাদের কার্যালয়ে আনা হয়েছে। বানরটিকে ড্রেসিং করে ঔষধও দেওয়া হচ্ছে। সে স্বাভাবিকভাবে খাবার গ্রহণ করছে। এটি ইতিবাচক, আরও কিছুদিন আমাদের পর্যবেক্ষণে থাকবে। সুস্থ হলে অবমুক্ত করা হবে।

খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে এসে ধাওয়া খেয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বানরটি। এতে গুরুতর আহত হয়। সোমবার বানরটিকে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে শনিবার থেকে বানরটির চিকিৎসা চলছিল সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। আহত অবস্থায় বানরটি নিজেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসতো। আবার চিকিৎসা শেষে চলে যেত।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, শনিবার বানরটি আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে ঘুরতে থাকলে বানরটিকে চিকিৎসা দেই। চিকিৎসা শেষে বানরটি বাগানে চলে যায়। পরদিন রবিবার বিকালে বানরটি আবারও আসে। বানরটি দেখে এগিয়ে যাই। বানরটির ক্ষত স্থানে ড্রেসিং করে ওষুধ দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেই। এ সময় বানরটি চুপচাপ বসে চিকিৎসা নিচ্ছিল। চিকিৎসা শেষে সেটি বাগানের গাছে ফিরে যায়। কিন্তু সোমবার সকালে বানরটি আবারও হাসপাতালে আসে। এতে হাসপাতালের চিকিৎসকরা বানরটির পূর্বের ব্যান্ডেজ খুলে পুনরায় ড্রেসিং করে দেন।

একটি বানর প্রতিদিন হাসপাতালে আসার এই খবর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বারবার বন বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ কার্যালয়কে জানালে তারা এসে বানরটি উদ্ধার করে। পরে বানরটিকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে বানরটির।