মেহেদী হাসান শিয়াম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:২৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার তীব্র ভাঙনে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী কৃষকের আবাদি জমিসহ মানুষের শেষ সম্বল বসতভিটাও নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থায়ী বাঁধ ছাড়া আগ্রাসী পদ্মার ভাঙন ঠেকানো অসম্ভব।
সরেজমিনে নদী ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের খলিফাচর (জোহরপুর) এলাকা থেকে শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা ইউনিয়নের দশরশিয়া প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী ভাঙন হচ্ছে। নদীর পাড়ের ঘাস, কাশবনসহ অন্যান্য বন উজাড় করে ফেলায় মাটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে পানির তোড়ে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। এবারের নদী ভাঙন মৌসুমে নিচের দিকে মাটি দেবে গিয়ে ভাঙনের সৃষ্টি হচ্ছে। ভাঙনের আতঙ্কে নিশিপাড়া চরে স্থান্তরিত হচ্ছে মানুষ।
স্থানীয়রা বলছেন, নদী ভাঙনের হুমকিতে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, দোতলা বিশিষ্ট আশ্রয়ণ কেন্দ্র, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নারায়ণপুর এমএ উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণপুরের বাতাস মোড় বাজার, কয়েক হাজার কৃষকের আবাদি জমিসহ প্রায় ৫ হাজার পদ্মা পাড়ের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি।
মুনিরুল ইসলাম নামে বাসিন্দা জানান, পদ্মা নদীতে পানি বাড়লে এবং কমলে নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে উজানের ঢলের তোড়ে নদী ভাঙন হচ্ছে। প্রতিবছরই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়, কিন্তু স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
তিনি বলেন, পদ্মা পাড়ে হাজার হাজার মানুষের বসবাস। এখানকার বাসিন্দাদের দাবি পদ্মা নদীতে ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের। অস্থায়ী জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যবহার করে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এতে কোনো কাজই হয় না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙন ঠেকাতে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। ভাঙনের খবর সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, যেসব এলাকায় নদী ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো চরাঞ্চল। তাৎক্ষণিক অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙন ঠেকানো অসম্ভব। একশ কিংবা দুইশ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙত তাহলে একটা অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া যেত।