মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:১০ পিএম
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৩০ পিএম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মধ্য খাউলিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক তালাবদ্ধ। প্রবা ফটো
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৫২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। একাধিক কর্মকর্তার পদ কয়েক বছর ধরে শূন্য রয়েছে। জনবল সংকট থাকায় ক্লিনিকগুলোতে নেই তদারকি। ইউনিয়ন পর্যায়ের একাধিক ক্লিনিক সপ্তাহে ২-৩ দিনই বন্ধ থাকে। ফলে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রান্তিক মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৫২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি ক্লিনিকে একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি), একজন স্বাস্থ্য সহকারী (এইচএ) ও একজন পরিবার-পরিকল্পনা সহকারী (এফডব্লিউএ) থাকার কথা। কিন্তু অধিকাংশ ক্লিনিকে সিএইচসিপি থাকলেও অন্য পদগুলো রয়েছে শূন্য।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৫২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে চারজনের পদ থাকলেও কয়েক বছর ধরে শূন্য। সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে ১৩ জনের মধ্যে রয়েছেন মাত্র চারজন। ৬৪ স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে রয়েছেন ২৭ জন।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সেবাপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, দূরদূরান্ত থেকে এসে তারা সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হন। ক্লিনিক কবে খোলা থাকে বা কবে বন্ধ থাকে অনেকেই জানেন না। ফলে তারা সেবা থেকে বঞ্চিত হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা শর্মী রায় বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মাঠ পর্যায়ে একাধিক কর্মকর্তার পদ শূন্য। তাই তদারকির ক্ষেত্রে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম তারেক সুলতান বলেন, ‘কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সেক্ষেত্রে ক্লিনিক বন্ধ রেখে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত রাখার কোনো সুযোগ নেই। বন্ধ থাকা ক্লিনিকগুলোরে বিষয় জেলা মাসিক সভায় তোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সিভিল সার্জনকে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন।’