কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৩ পিএম
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২:০৭ পিএম
উদ্ধার হয়নি তিন বন প্রহরী। প্রবা ফটো
কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার বন বিভাগের পাহারা দলের তিন সদস্যকে তিনদিনেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে মুক্তিপণের টাকার সংখ্যা কমিয়ে এখন অপহৃতদের পরিবারের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা করে দাবি করা হচ্ছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বন বিভাগের টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও নেচারপার্ক মোচনী বন পাহারা দলের সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার পাহাড়ের সংঘবদ্ধ অপহরণ চক্রের সদস্যরা তাদের অপহরণ করে। অপহৃত তিনজন হলেন-হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে মোহাম্মদ শাকের, বকসু মিয়ার ছেলে আবদুর রহমান ও আবদুস শুক্কুরের ছেলে আবদুর রহিম।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, শুক্রবার সকালে ইউনিয়নের মোচনী বিটের নেচারপার্ক বনে পাহারা দেওয়ার সময় বেসরকারি সংস্থা নিসর্গের অধীনে কর্মরত তিন পাহারাদারকে অপহরণ করা হয়। খবর পেয়ে বন পাহারা দলের অর্ধশতাধিক সদস্য পাহাড়ে অভিযান চালায়। এরপর শনিবার সকালে শাকেরের মা আম্বিয়া খাতুন, রহিমের স্ত্রী রাবিয়া বেগম এবং আবদুর রহমানের স্ত্রী সানজিদার মুঠোফোনে কল দিয়ে ২০ লাখ টাকা করে ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। রবিবার দুপুরে সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের কাছে থাকা মুঠোফোন দিয়ে পরিবারের কাছে ফোন করে জনপ্রতি ১০ লাখ করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দাবি করা টাকা না পেলে তাদেরকে হত্যা করা হবে বলে হুমকিও দেয়।
তিনজনকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত চান দাবি করে পরিবারের সদস্যরা বলেন, টাকা না পেলে তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। অপহৃত তিনজনকে নির্যাতন ও মারধর করা হচ্ছে। এ সময় পরিবারকে মুঠোফোনে তাদের চিৎকার শুনিয়ে ভয় দেখায় অপহরণকারীরা।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ বলেন, ‘এ ঘটনার পর শুক্রবার রাতে টেকনাফ সদরের বিট কর্মকর্তা আবুল কালাম সরকার বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বন প্রহরীদের উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।’
গত সাড়ে ৮ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৮৬ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৪২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকি ৪৪ জন রোহিঙ্গা। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৩৯ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে।