নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:৩০ এএম
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৪:১৩ পিএম
নোয়াখালীর সেনবাগের কেশারপাড় দিঘিতে মাছ শিকার করতে ২৩ হাজার টাকার টিকিট কেনেন চাঁদপুরের মাস্টার হারুন। এই প্রতিযোগীতায় আট মণ মাছ শিকার করে প্রথম হয়েছেন তিনি। মাছগুলোর বাজারমূল্য প্রায় ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া সাত মণ মাছ পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন নোয়াখালীর বিজন। আর সাড়ে পাঁচ মণ মাছ শিকার করে তৃতীয় হয়েছেন কুমিল্লার আল হাসান।
২৪ ঘণ্টার শিকার শেষে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মাছগুলো পরিমাপ করা হয়।
জানা যায়, শৌখিন শিকারিদের জন্য কেশাড়পাড় দিঘিতে ছিপ-বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের উৎসবের আয়োজন করেন রেজাউল করিম জুয়েল, রানা, সবুজ ও সোহেল নামের চার বন্ধু। শুক্রবার বিকালে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ি) আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। শনিবার বিকল ৫ টায় মাছ ধরা শেষ হয়। ৭০ জন প্রতিযোগি ২৩ হাজার টাকা করে টিকিট কেনেন।
মাছ শিকারে প্রথম হওয়া চাঁদপুরের মাস্টার হারুন বলেন, ‘২৪ ঘণ্টায় আট মণ মাছ শিকার করেছি। মাছের আকার ছোট হলেও প্রায় সব ধরনের মাছ পেয়েছি। শখের বসে এসে এত মাছ শিকার করতে পেরে খুব ভালো লেগেছে।’
মাছ শিকারে তৃতীয় হওয়া কুমিল্লা জেলার লাকসামের আল হাসান বলেন, ‘কেশারপাড় দিঘির সুনাম রয়েছে। এখানে সুন্দর আয়োজন হয়। সাড়ে পাঁচ মণ মাছ পেয়েছি। সব মিলে খুব ভাল লেগেছে সময়টুকু। সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
আয়োজক রেজাউল করিম জুয়েল বলেন, ‘আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করি। এটা আমাদের প্রথম খেলা ছিল। মডেল অভিনেতা আদিল হাসান নোবেলসহ ঢাকা, চট্রগ্রামসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মৎস্য শিকারীরা এখানে এসেছেন। আমাদের এমপি মোরশেদ আলমের সহযোগিতায় সুন্দরভাবে প্রতিযোগিতা শেষ করতে পেরেছি।’
সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম বলেন, ‘বিভিন্ন স্থান থেকে সৌখিন শিকারীরা আমাদের জেলার ঐতিহাসিক কেশারপাড় দিঘিতে মাছ শিকার করেছে। এটা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। তারা নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করেছে। আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হয়েছে। নোয়াখালীর সুনাম বৃদ্ধিতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।’