কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:০৫ পিএম
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৩২ পিএম
দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রবা ফটো
কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া ৬ নম্বর ঘাটে নোঙর করা যে ট্রলারে বিস্ফোরণ ঘটেছে, ওই ট্রলারে ছিলেন মোট ১৮ জন। বিস্ফোরণের সময় তাদের মধ্যে কয়েকজন ঘুমে ছিলেন। কয়েকজন ছিলেন চা বানাতে ব্যস্ত। এমন সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে দগ্ধ হলেন ১২ জন। তাদের মধ্যে ১০ জনেরই শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এফবি লাকি নামের ট্রলারটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।
ট্রলারের সাবমাঝি মুহাম্মদ কামাল জানান, ট্রলারে চারটি গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। চারটি সিলিন্ডারই বিস্ফোরিত হয়েছে।
এতে দগ্ধ জেলেরা হলেন আইয়ুব, দীল মোহাম্মদ, রফিক, মনির, শফিকুল, আরমান, রহিম, রহিমুল্লাহ, শাহিন, ওসমান, আলী আকবর ও দুলাল মাঝি। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশিকুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ’১০ জনেরই শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজনের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।‘
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধ সবাই মো. সেলিমের মালিকানাধীন দুলাল মাঝির মাছ ধরার ট্রলারের জেলে। তারা কক্সবাজার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড কুতুবদিয়াপাড়া ও সমিতিপাড়ার বাসিন্দা।
জানতে চাইলে ট্রলারের সাবমাঝি মুহাম্মদ কামাল বলেন, ‘সাগরে ৯ দিন থাকার পর মাছ নিয়ে ট্রলারটি বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের ৬ নম্বর ঘাট এলাকায় নোঙর করা হয়। পরে যার যার মতো চলে যায়। আজ সকালে ট্রলারে কয়েকজন মাঝি-মাল্লা ঘুমাচ্ছিলেন। আমি আর দুজন ট্রলারের সামনের অংশে কাজ করছিলাম। দুয়েকজন জেলে গ্যাসের চুলায় চা বানাচ্ছিলেন। তখন হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।’
তিনি জানান, ট্রলারে মোট ১৮ জন ছিলাম। তাদের মধ্যে ১২ জন দগ্ধ হয়েছেন।