পঞ্চগড় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৩ পিএম
চা বাগানে কাজ করছেন এক কৃষক। প্রবা ফটো
অবশেষে দীর্ঘ ২৩ বছরের অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের চা-চাষিদের। জেলায় দেশের প্রথম অনলাইনভিত্তিক ও তৃতীয় চা নিলামকেন্দ্র চালু হবে আগামীকাল শনিবার। এ উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে চা নিলামের জন্য ওয়্যার হাউজ, ব্রোকার হাউজসহ যাবতীয় কার্যক্রম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সমতলে চায়ের আবাদ শুরু হয় ২০০০ সালে। এরপর ক্রমেই বাড়তে থাকে জেলায় চায়ের পরিধি। বর্তমানে জেলায় ১২ হাজার ৩৯ একর জমিতে চায়ের চাষাবাদ হচ্ছে। জেলায় নিবন্ধিত ৯টি ও অনিবন্ধিত ২১টি বড় চা-বাগান (২৫ একর থেকে ওপরে) এবং সাড়ে ৮ হাজার ছোট চা-বাগান (০ থেকে ২৫ একর) রয়েছে। ৫৬টি কারখানার অনুমোদন দেওয়া হলেও চালু রয়েছে ২৬টি। এসব চা-বাগান থেকে সদ্যসমাপ্ত বছরে ৮০ লাখ কেজি কাঁচা চা-পাতা উৎপাদন করা হয়।
তবে চাষিরা কাঁচা চা-পাতার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় উত্তরাঞ্চলে চায়ের নিলাম বাজার চালুর দাবি ওঠে। অনুমোদন দেওয়া হয় দেশের তৃতীয় ও প্রথম অনলাইনভিত্তিক নিলাম বাজারের। ইতোমধ্যে জেলায় ১১টি ব্রোকার হাউজ আবেদন করলেও অনুমোদন পেয়েছে ৫টি এবং ৬টি ওয়্যার হাউজ আবেদন করলেও অনুমোদন পেয়েছে ২টি। এ ছাড়া চা বিডার, বায়ার, চা টেস্টাররা প্রস্তুত রয়েছেন চায়ের নিলাম কার্যক্রমে অংশ নিতে। নিলামকেন্দ্র হলে চায়ের ন্যায্য দাম পাওয়ার পাশাপাশি তৈরি চা বিক্রির দর সম্বন্ধে জানতে পারবেন চাষিরা।
জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, নিলাম বাজার হলে এখানে অনেক বিদেশি বায়ার আসবে। হোটেলমালিক, শ্রমিকসহ সবাই লাভবান হবে। জেলার অর্থনীতির নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।