ঝালকাঠি প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৩০ পিএম
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৩ ১৯:৫৬ পিএম
ঝালকাঠি জেলা কারাগার। ফাইল ছবি
ঝালকাঠি জেলা কারাগারের জেলার মো. আক্তার হোসেন শেখের বিরুদ্ধে অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ দিয়েছেন এক নারী। কারা মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, কারাবন্দি স্বামীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়ার কথা বলে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ওই নারী নলছিটি সদরের বাসিন্দা। তার স্বামী ২৯ জুলাই থেকে ঝালকাঠি জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে দেখা করার জন্য বারবার জেলগেটে গিয়ে তিনি দেখা করতে পারছিলেন না। পরে এক কর্মচারীর পরামর্শে জেলার আক্তার হোসেনের সরকারি নম্বরে ৩০ জুলাই ফোন করে স্বামীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথা জানান। তখন জেলার তার স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার ব্যবস্থা করে দিতে ওই নারীর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর চেয়ে নেন। এরপর জেলার তার ব্যক্তিগত নম্বর থেকে ভুক্তভোগী নারীকে নিয়মিত ফোন করে কথা বলতে থাকেন। স্বামীর সঙ্গে দেখা করে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ওই নারীর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও ভিডিও কল দেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে রাত কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এতে রাজি না হওয়ায় ওই নারীকে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি এবং তার স্বামীকে জেলের ভেতরে আরও শাস্তি দেওয়ার ভয় দেখান।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আমি তার খারাপ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেননি জেলার আক্তার হোসেন। আমি আমার দুটি শিশু বাচ্চা নিয়ে জেলগেটে স্বামীর সঙ্গে দেখা করার জন্য দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থেকেছি। ওনার কুপ্রস্তাবের সকল রেকর্ড আমার কাছে আছে। আমি বুধবার আবার জেলগেটে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে কারারক্ষী দুই হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। তাকে টাকা দিতে না পারায় আমাকে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। আমার বাচ্চারা ওদের বাবার সঙ্গে দেখা করতে না পেরে দিন-রাত শুধু কান্নাকাটি করছে। আমার অসহায়ত্ব ও বিপদের সুযোগ নিতে চেয়েছে জেলার আক্তার হোসেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে ঝালকাঠি জেলা কারাগারের জেলার আক্তার হোসেন শেখ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘অভিযোগটি সত্যি নয়। এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক ও বানোয়াট। এখন এডিটিং করেও অনেক কিছু করা যায়।’
ঝালকাঠির জেল সুপারের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এনডিসি মং এছেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘কারা অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের কাছে এক নারী অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ দিয়েছেন বলে শুনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’