রেলের জমিতে আওয়ামী লীগ নেতার বহুতল ভবন

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় রেলওয়ের জায়গা কৃষিজমি হিসেবে ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মহির উদ্দীন উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। তার দাবি কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন করে বাণিজ্যিকীকরণ করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আর কৃষিজমি ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের বিধান নেই বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেললাইনের বড়াল ব্রিজ স্টেশনের পশ্চিম পাশে রেলের পুকুর ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে প্রায় চার হাজার বর্গফুটজুড়ে ২৪টি কলাম বসানো হয়েছে। নির্মাণশ্রমিকরা কাজ করছেন। আশপাশে বিভিন্ন স্থানে নির্মাণসামগ্রী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেখানে রেলের পুকুরে আগে মাছের চাষ করা হতো। দুই বছর পূর্বে ড্রেজার দিয়ে বালু ফেলে পুকুর ভরাট শুরু করেন মহির উদ্দীন। এ বিষয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বালু ভরাট বন্ধ করে দেয়। পরে অদৃশ্য কারণে পুকুরটি আবার ভরাট করা হয়। এখন সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, মহির উদ্দীন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কৃষিজমি হিসেবে ইজারা নিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুই বছর পূর্বে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে বাণিজ্যিক করা হয়েছে। রেললাইনের পাশে তাই মজবুত করেই ভবন নির্মাণ করছি। তবে ভবন নির্মাণের কোনো অনুমতি পাইনি।’

বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (পশ্চিম) রেজাউল করিম বলেন, ‘কৃষিজমি হিসেবে ইজারা নিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করার বিধান নেই। অবৈধভাবে কেউ নির্মাণ করলে ভবন ভেঙে দেওয়াসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’