লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৩ ১১:০২ এএম
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৩ ১১:২৩ এএম
লক্ষ্মীপুরে মাটিতে পুঁতে রাখা এক এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ছয় দিন পর বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের দক্ষিণ মজুপুরের কালু হাজি সড়ক এলাকার জাবেদ হোসেনের চায়ের দোকানের পেছন থেকে মাটিচাপা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। জাবেদকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুন হওয়া এনজিও কর্মীর নাম ইউনুস। লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল গনি হেডমাস্টার সড়কের আবদুর রশিদ মোল্লার ছেলে তিনি। গ্রামীণ মাল্টিপারপাসের মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
আটক জাবেদ কালু হাজি সড়কের সফিকুর রহমানের ছেলে। দোকান চালানোর পাশাপাশি তিনি নির্মাণশ্রমিক হিসেবেও কাজ করেন।
জাবেদের পরিবারের বরাতে ওসি জানান, জাবেদ সম্প্রতি গ্রামীণ মাল্টিপারপাস থেকে ২০ হাজার টাকা কিস্তি তুলেছেন। প্রতিদিন আড়াইশ টাকা করে কিস্তি পরিশোধ করার কথা। তবে তিনি নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করছিলেন না।
পুলিশ জানায়, গত ২৪ আগস্ট মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হন এনজিও কর্মী ইউনুস। কিন্তু রাতে বাসায় ফেরেননি। এরপর তার খোঁজ না পেয়ে পরদিন স্ত্রী সুলতানা জামান সদর মডেল থানায় জিডি করেন।
তদন্তের পর অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে জাবেদকে আটক করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারই চায়ের দোকানের পেছন থেকে ইউনুসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে জাবেদ জানিয়েছেন, ২৪ আগস্ট রাতে কিস্তির টাকার জন্য তার দোকানে যান ইউনুস। কিন্তু তখন ইউনুস টাকা দিচ্ছিলেন না। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাবেদ লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ইউনুস মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে জাবেদ নিজেই তার দোকানের পেছনে নিয়ে লাশ মাটিতে পুঁতে রাখেন। ইউনুসের ব্যবহৃত মোবাইল ও মোটরসাইকেলটি পাশের পুকুরে ফেলে দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, ‘জাবেদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুকুর থেকে ইউনুসের মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়েছে।’