কয়রা (খুলনা) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২২ ১৯:০৮ পিএম
কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ডুকছে পানি
উপকূলীয় জেলা খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট ও মৎস্য ঘের । আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে উপকূলের বাসিন্দারা।
উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরামুখা গ্রামে শনিবার রাতে কপোতাক্ষ নদীর প্রবল জোয়ারের ভাটির টানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুশ মিটার জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয় । সকালে স্থানীয়রা সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মেরামতের চেষ্টা চালায় কিন্তু দুপুরের জোয়ারের পানি দ্রুত পাওয়ায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ রানা জানান, ভাঙ্গন কবলিত স্থানে অনেক বড় চর ছিল রাতে জোয়ারের তোড়ে হঠাৎ রাতে চরসহ বেরিবাধে ফাটল নেয় তখন পর্যন্ত লোকালয় পানি প্রবেশ করেনি । আমরা গ্রামবাসী সকলে মিলে বাঁধ মেরামত করার চেষ্টাকরে ব্যার্থ হওয়ায় দুপুরের জোয়ারে এলাকায় পানি প্রবেশ করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য খোকন সরদার বলেন, রাতে চরামুখা গ্রামের খালের গোড়ায় ২শত মিটার জায়গা জুড়ে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় সকাল থেকে সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে এলাকাবাসী মিলে মেরামতের কাজ করেছি। তবে পুরোটা জায়গা মেরামত করতে না পারায় দুপুরের জোয়ারে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।
সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড মেম্বর রাশিদা খানম বলেন, রাতের ভাটিতে ভেঙে যায় কিন্তু লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেনি। সকাল ধরে এলাকার জনসাধারন নিয়ে বাঁধ নির্মাণ করার চেষ্টা করে ব্যার্ত হয়েছি। দুপুরের জোয়ারে চোরামুখা, ঘড়িলাল, ও সরদারপাড়া এই তিনটা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, তবে রাতের জোয়ারে আগে বিকল্প বাঁধ নির্বাণ না হলে পুরা দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের প্রায় ২০টি গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের তিনটা গ্রাম প্লাবিত হবে। আর তা হলে নদী ভাঙ্গনে এযাবত কালের সর্বোচ্চ ক্ষতি সাধিত হবে। বিরান ভুমিতে পরিণত হবে পুরা দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাস-নাইন মাহমুদের নেতৃত্বে পাউবোর একটি টিম ভাঙ্গন কবলিত স্থানে উপস্থিত থেকে বাঁধ মেরামতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রাতের জোয়ারের আগে ভাঙা স্থান মেরামত করা সম্ভব হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা জানান, নদীতে প্রবল জোয়ারের ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এর বড় একটা অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। রাতের জোয়ার আটকানো সম্ভব হবে কিনা বলা যাচ্ছে না। এখন জোয়ার, ভাটা না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না, বাঁধ মেরামতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।