লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩ ১৬:২৪ পিএম
আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০২৩ ১৭:১৯ পিএম
শারমিন আক্তার নুপুরের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুর সদরে এক গৃহবধুকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই গৃহবধুর নাম- শারমিন আক্তার নুপুর। তিনি দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামের মোহাম্মদ উল্যাহ লিটনের স্ত্রী। নুপুর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের পূর্ব জামিরতলী গ্রামের ফখরুল ইসলামের মেয়ে।
দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন সবাই পলাতক। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম কামাল উদ্দিন বলেন, নুপুরের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। তার এক পা খাটের বাইরে, অন্য পা খাটের ওপরে ছিল। দরজা আটকানো থাকলেও জানালার একটি কাঁচ ভাঙা ছিল।
নুপুরের ভাই রাকিব হোসেন রায়হান বলেন, বুধবার সকাল ৭টার দিকে নুপুরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। গতকাল ফার্নিচারের জন্য নুপুরের স্বামী লিটন, শাশুড়ি বাসুরা বেগম ও ননদ পারভিন আক্তার নুপুরকে মারধর করেছে। ঘটনাটি জানতে পেরে লিটনের সঙ্গে কথা বললে আমাকে গালমন্দ করে। এর কিছুক্ষণ পরই শুনি আমার বোন আর নেই। বোনকে মেরে ঝুলিয়ে রেখে নুপুরের ছেলে আবদুল তাকরিমকে নিয়ে পালিয়ে গেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিহতের ভাই আরও বলেন, ‘আমরা পাঁচ ভাই, কোনো বোন ছিল না। নুপুরকে বাবা-মা পালক নেয়। নুপুরকে কখনও পালক বোন হিসেবে ভাবেনি। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন নুপুর যে পালক মেয়ে সেটি জানতে পারে। এরপর থেকে তারা প্রায়ই মারধর করতো।’
ঘটনার পর থেকে স্বামী মোহাম্মদ উল্যা লিটন, শাশুড়ি, ননদসহ পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।