কুড়িগ্রামে জাপার পদ বঞ্চিতদের বিক্ষোভ-সড়ক অবরোধ

কুড়িগ্রামে জাতীয় পার্টির (জাপা) নব গঠিত কমিটিতে পদ না পেয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে পদ বঞ্চিতদের একাংশ। অবিলম্বে বর্তমান কমিটি বাতিল না করলে বড় আন্দোলনের হুঁমকি দেন তারা।

বুধবার (৩০ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কুড়িগ্রাম পুরাতন শহর থেকে জাপার পদ বঞ্চিতরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের জিরো পয়েন্ট শাপলা চত্বরে দেড় ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করা হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও সদস্য সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আব্দুস সালামের ছবি সম্বলিত ব্যান্যার-ফেস্টুন ছিড়ে পুড়িয়ে ফেলে।

দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধে কুড়িগ্রাম শহরে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে কুড়িগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুড়িগ্রাম সার্কেল) একেএম ওহিদুন্নবী ও সদর থানার ওসি ফরিদ হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ সময় বক্তব্য রাখেন- কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য সচিব এস কে আহমেদ বাবু, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আজিজুল ইসলাম সন্ডে, সদস্য রাজারহাট উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ওয়াহেদ সরকার, আতাউর রহমান আতা, উজ্জ্বল হোসেন, জয়নাল আবেদীন, ফুলবাড়ী উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ প্রমুখ। 

জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সদস্য সচিব এস কে আহমেদ বাবু বলেন, ‘আমরা যুগ যুগ ধরে জাতীয় পার্টি করে আসছি। পার্টি করতে গিয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। কিছু হাইব্রিড নেতা পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে ভুল বুঝিয়ে একটি পাতানো কমিটি গঠন করেছে। অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুস সালাম উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। বিগত পাঁচ বছরে দলীয় কিংবা জাতীয় কর্মসূচিতে না এলেও এখন তিনিই জেলা কমিটির সদস্য সচিব। জেলা কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক তার মনগড়া দল চালানোর জন্য জনবিচ্ছিন্ন হাইব্রিড নেতা আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব বানিয়েছেন। আমরা এই অবৈধ ও পাতানো কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা জতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ও কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিন উপজেলার যে সব নেতাকর্মী পদবঞ্চিত হয়েছেন তারাই মূলত আজকের কর্মসূচি দিয়েছে। ত্যাগীরা পদবঞ্চিত হওয়ায় তারা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে।’

জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে একাধিকবার মোবাইল ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।