সালিশে মারধরের পর কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ

বগুড়ার শিবগঞ্জে গৃহবধূকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে সালিশে ডেকে নিয়ে মারধরে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাতে উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের বড় হরিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই কৃষকের নাম- মো. আবুল হোসেন। তিনি উপজেলার বড় হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা।

মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আশিক ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে বুধবার সকালে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের সদস্যরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মৃত আবুল হোসেনের স্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে স্থানীয় মিঠুন, জলিল ও সফিকুল মোন্না আমার স্বামীকে ঘুম থেকে তুলে মসজিদের কাছে নিয়ে যায়। আমিও তার সঙ্গে যাই। গিয়ে দেখি সালিশ বসছে। সেখানে গ্রামের মাতব্বররা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সোহাগ আমার স্বামীকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। আমার স্বামীর মাথা ও ঘাড়ে সিগারেটের আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। মনোয়ারা ও তার স্বামী বাদশা মিয়াও আমার স্বামীকে মারপিট করছে।

তিনি আরও বলেন, পরে আমার স্বামীকে আহত অবস্থায় বাড়ি নিয়ে আসি। উনি বুকের ব্যাথায় কাতরাতে থাকেন। পরে রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। আমি থানায় মামলা করব।

এ ঘটনায় অভিযোগ উঠা ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সালিশে উপস্থিত একজন বলেন, প্রতিবেশি এক নারীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে আবুল হোসেনকে স্থানীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে ডেকে নিয়ে আসা হয়। এরপর বিচার চলাকালীন ওই নারীর ছেলে তাকে মারধর করেন। এরপর আবুল হোসেনকে বাড়ি নেওয়া হলে তিনি মারা যান।