রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ
প্রতিদিনের বাংলাদেশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২২ ১৬:৩০ পিএম
আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২২ ১৬:৫১ পিএম
রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে রোববার চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর অবস্থান। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কমলাপুরের পর এবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করছেন চার শিক্ষার্থী। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অধ্যয়নরত। যাত্রী হয়রানি বন্ধে ছয় দফা দাবি জানিয়ে আজ রোববার সকাল ১০টায় তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
ছয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে ১০ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দিন রনি। তাঁর সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মাহবুব হাসান, মোহাম্মদ মাসুদ, মোহাম্মদ মাহিন রুবেল এবং চতুর্থ বর্ষের ছাত্র কাজী আশিকুর রহমান আজ রোববার চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নেন।
চবির চার শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের দুর্নীতি শুধু একজনের সাথে হয়নি। প্রায় সব যাত্রী নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাই। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। আজ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। কাল থেকে ২৪ ঘণ্টা কর্মসূচি পালন করা হবে।
ছয় দফা দাবি
চবির চার শিক্ষার্থীর ছয় দফা দাবি হলো—টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহজ ডটকমের যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করা ও হয়রানির ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া; যথোপযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে টিকিটের কালোবাজারি প্রতিরোধ, অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করা ও অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা; যাত্রীর চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া; ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক, তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তির কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি ও শক্তিশালী তথ্য সরবরাহব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বাড়ানো; ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনা মূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
প্রসঙ্গত, গত মাসে টিকিট কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। পরে গত ৭ জুলাই থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। ঈদের দিনও তিনি কমলাপুরে অবস্থান করেন। এর আগে অবস্থানের তৃতীয় দিন ৯ জুলাই পুলিশের সদস্যরা তাঁকে বাধা দেন। তখন থেকে তিনি গণস্বাক্ষর বন্ধ রেখে ২৪ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।