চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩ ২২:১২ পিএম
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৩ ২২:১৫ পিএম
আহত ঘেরের মালিক দিদারুল ইসলাম। প্রবা ফটো
কক্সবাজারের পেকুয়ায় চাঁদা না পেয়ে চিংড়ি ঘেরের মালিকের হাত পা বেঁধে প্রায় দুই লাখ টাকার মাছ লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২৬ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ঘেরের মালিক দিদারুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কোদাইল্যাদিয়া এলাকার নুরুল কাদেরের ছেলে।
দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘চিংড়িঘেরে জাল ফেলে মাছ ধরছিলাম। হঠাৎ একই গ্রামের আশরাফ মিয়া, তার ছেলে আবদুর রহমান, আব্দুল হাকিম, আব্দুল মান্নান, মৃত একরাম মিয়ার ছেলে মনছুর, মৃত মাহমদ আলীর ছেলে নুরুল কবিরসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘেরে হানা দেয়। তারা আমাকে ব্যাপক মারধর করে। একপর্যায়ে হাত-পা রশি দিয়ে বেঁধে ঘের থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যায়।’
দিদারুল ইসলামের বাবা নুরুল কাদের বলেন, ‘প্রায় ত্রিশ বছর ধরে চিংড়িঘের করে আসছি। গত কয়েক বছর থেকে এলাকার কিছু চিহ্নিত লোক ঘের থেকে বিতাড়িত করতে অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। তারা তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ঘের জবরদখল করার ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমাদের প্রতিনিয়ত নানাভাবে হয়রানি করছে। এর আগেও কয়েক দফা আশরাফ মিয়ার নেতৃত্বে ঘের থেকে মাছ লুট করা হয়েছে।’
মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, ‘দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। আশরাফ মিয়া গংদের এসব কর্মকাণ্ডের জন্য সতর্ক করা হয়েছে, তাদেরকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। শুনেছি এরপরেও নাকি তারা মাছ লুট করেছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা বলেন, আবদুল হাকিম ও আবদুর রহমান এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। জমি দখল, চাঁদাবাজি, মারপিটসহ নানা অপকর্মের সাথে তারা জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত কয়েকজনের মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। আরেক অভিযুক্ত নুরুল কবিরের কাছে মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কেটে দেন। পরে কয়েকবার কল দিয়েও সারা পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, ‘এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’