নাটোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৭:২২ পিএম
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩ ১৮:২৯ পিএম
ফাইল ছবি
নাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ষণের
ঘটনায় ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশু। সেপ্টেম্বরের প্রথম
সপ্তাহে তার সিজারিয়ান অপারেশন করার তারিখ নির্ধারণ করেছেন চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার
(২৪ আগস্ট) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাহিদুল ইসলাম বলেন,
রিপোর্ট অনুযায়ী ৮ সেপ্টেম্বর সন্তান প্রসবের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শারীরিক
অবস্থাসহ পরবর্তী নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা এড়াতে তার সিজারিয়ানের প্রস্তুতি নেওয়া
হয়েছে।
ভুক্তভোগী
পরিবারের দাবি, ধর্ষণের ঘটনায় অন্তঃসত্বা হয় শিশুটি। ওই ঘটনায় মামলা করা হলেও এখনও
আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আসামির
নাম- জাহিদুল খাঁ। তিনি গুরুদাসপুরের ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়িবাড়ি গ্রামের
বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
গুরুদাসপুর
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর আসামি পালিয়ে
গেছে। আসামি জাহিদুল খাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবুল কালাম জানান, মেয়েটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনার
পর থেকে পলাতক থাকায় আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগী
শিশুর দাদি ও মামলার বাদী বলেন, ‘আমার নাতনি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। তার
বাবা-মা পৃথক সংসার করায় নাতনি আমার কাছেই থাকে। আসামি জাহিদুল খাঁ আমাদের প্রতিবেশী।
গত বছরের নভেম্বর মাসে তাকে ধর্ষণ করে জাহিদুল। এরপর ভয় দেখিয়ে বলে, এ ঘটনা কাউকে বললে
হত্যা করবে।
ঘটনার
ছয় মাস পর নাতনির শারীরিক পরিবর্তন দেখে জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি খুলে বলে। এরপর আলট্রাসনোগ্রাফি
করে বিষয়টি নিশ্চিত হই। গত ১৮ জুন গুরুদাসপুর থানায় জাহিদুলের নামে মামলা করি। কিছুদিন
পরে নাতনির অপারেশন। মামলার এতদিন পরেও আসামি গ্রেপ্তার হলো না।’
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রাবণী রায় জানান, বিষয়টি দুঃখজনক। আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্তঃসত্ত্বা শিশুটির সিজারিয়ান খরচসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এখন থেকে সন্তান প্রসব পরবর্তী মেয়েটিকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবারও উপজেলা প্রশাসন সরবরাহ করছে।