× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

৩০ হাজার মানুষের ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো

খাদেমুল ইসলাম, মাদারগঞ্জ (জামালপুর)

প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১০ পিএম

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ফুলারপাড়া এলাকায় যমুনার শাখা নদীতে স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের সাঁকো। প্রবা ফটো

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ফুলারপাড়া এলাকায় যমুনার শাখা নদীতে স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত বাঁশের সাঁকো। প্রবা ফটো

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ১৫ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা নড়বড়ে একটি বাঁশের সাঁকো। উপজেলার জোড়খালি ইউনিয়নে ফুলারপাড়া এলাকায় যমুনার শাখা নদীতে সেতু না থাকায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে ১৫০ মিটারের একটি ঝুঁকিপূর্ণ নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন বয়স্ক, রোগী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কৃষকরা চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচন এলে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর কোনো উদ্যোগ নেন না। বছরের পর বছর জনপ্রতিনিধিদের কাছে ঘুরেও সেতুর বিষয়ে মিলছে না কোনো সমাধান। তবে মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প অনুমোদন পেলেই সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সায়েদুজ্জামান সাদেক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জোড়খালি ইউনিয়নে যমুনার একটি শাখা নদী ফুলারপাড়াসহ ১০টি গ্রামকে আলাদা করেছে। ওইসব গ্রামের মানুষ ওই নদীটি প্রথমে নৌকা দিয়ে পারাপার শুরু করে। পরে এলাকাবাসীর নিজস্ব উদ্যোগে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। এরপর থেকে এ সাঁকো দিয়ে ফুলারপাড়া, জামিরা, পাটাদহ, কয়ড়া, চররৌহা, নান্দিনা, খলিশাকুড়িসহ দুই পাড়ের প্রায় ১৫ গ্রামের মানুষ পারাপার হচ্ছেন। স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবিতে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও কোনো সমাধান মেলেনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কয়ড়া বাজারের অদূরেই ফুলারপাড়া এলাকা। কিছু পথ মাটির সড়ক দিয়ে যাওয়ার পরে যমুনার শাখা নদীটির ওপর প্রায় ১৫০ মিটারের একটি বাঁশের সাঁকো দেখা যায়। ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে মোটরসাইকেল, সাইকেল, ভ্যানসহ মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়াত করছে। এ ছাড়াও কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য মাথায় নিয়ে বাজারে যাতায়াত করেন ওই এলাকার কৃষক। এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে বয়স্ক, শিক্ষার্থী ও রোগীসহ দুই পাড়ের মানুষ। সেতুর অভাবে কৃষি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন দিকে পিছিয়ে পড়ছে ওই অঞ্চলের দরিদ্র মানুষগুলো।

স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুল হক জানান, সেতুর অভাবে ১৫ গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বাঁশের সাঁকো ছাড়া ওই অঞ্চলের মানুষকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ ঘুরে বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হয়। এতে সাধারণ মানুষকে গুনতে হয় বাড়তি টাকা। 

ফুলারপাড়া এলাকার কলেজছাত্র আব্দুল ওয়াদুদ বিদ্যুৎ বলেন, আগে আমরা নৌকা দিয়ে চলাচল করেছি। পরে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

কৃষক আব্দুল করিম বলেন, ভাঙা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ফসল বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। মাথায় করে কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে যেতে হয়। সেতু না থাকায় এ অঞ্চলের কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সঠিক সময়ে বাজারে নিতে পারে না। ফলে কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিল বলেন, জামালপুর ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা নদী দ্বারা বেষ্টিত। যার ফলে এ জেলায় সেতুর চাহিদা অনেক বেশি। আমরা ক্রমান্বয়ে সবগুলো সেতুই বাস্তবায়ন করছি। জোড়খালি সেতুটি আমরা আন্ডার হান্ড্রেড মিটার প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্তির জন্য পত্র প্রেরণ করেছি। প্রজেক্টটি পাস হলে আমরা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

এ বিষয়ে জামালপুর স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, সেতুটি অনুমোদনের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা