লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩ ১২:৪১ পিএম
আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৩ ১৪:৩০ পিএম
রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলম মিরনকে হত্যার দায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে তাদের আরও এক বছর কারাগারে থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও ১১ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- সদর উপজেলার চরচামিতা গ্রামের জামাল হোসেন, একই গ্রামের জসিম উদ্দিন, দত্তপাড়া গ্রামের মো. শাহজাহান, সৈয়দপুর গ্রামের ফয়সাল খান জয়, বশিকপুর গ্রামের মো. মিলন প্রকাশ ওরফে সিএনজি মিলন, কাশিপুর গ্রামের আল-আমিন, বিরাহিমপুর গ্রামের মো. বরকত, বড় রশিদপুর গ্রামের মো. নিশান, চরচামিতা গ্রামের মো. লোকমান, চরচামিতা গ্রামের মো. সুমন, দত্তপাড়া গ্রামের মো. রুবেল।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন মো. আলমগীর, মাহফুজ আলম বেরাইজ্জা সুমন, মো. মামুন, জুয়েল হোসেন, কাউসার হোসেন রাজন, শাহ আলম পাটওয়ারী সোহাগ, মো. কাউসার, আলাউদ্দিন সুমন প্রকাশ চুইল্যা সুমন, মো. রিপন, সামছুদ্দিন সামু ও কামাল খান।
রায়ের ঘোষনার সময় মিলন প্রকাশ ওরফে সিএনজি মিলন ও রুবেল নামে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে আদালতে উপস্থিত করা হয়েছিল। বাকি আসামিরা পলাতক। তারা আদালতে উপস্থিত হননি।
জেলা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারের বরাতে তিনি জানান, ভিকটিম মিরন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং একই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে দত্তপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামে একটি দোকানে ইউপি মেম্বার মিরন আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় আসামিরা দলবদ্ধভাবে ওই দোকানে উপস্থিত হয়ে মিরনকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই মিরন মারা যান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, এ ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর মিরনের স্ত্রী তাহমিনা চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের আসামি করে মামলা করেন। ২০২১ সালের ২৪ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (ইনচার্জ) হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরমধ্যে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ায় খোরশেদ আলম, শাহাদাত প্রকাশ কালা শাহাদাত ও ইলিয়াস কোবরাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেন।
বাদী তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়নি। একজন আসামিকেও ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়নি। আমি উচ্চ আদালতে আসামিদের ফাঁসির দাবিতে আপিল করব।’