যবিপ্রবিতে নিয়োগের অনিয়ম
প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩ ২১:৩৮ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩ ২২:০৪ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, নিয়োগ নীতিমালা ও ইউজিসির নির্দেশনা লঙ্ঘন করে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক ভিসিসহ তিনজনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২১ আগস্ট) সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আল-আমিন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরে মামলাটি করেন। কমিশনের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মু. আরিফ সাদেক মামলার বিষয়টি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, যবিপ্রবি সাবেক ভিসি অধ্যাপক মো. আব্দুস সাত্তার, বিশ্ববিদ্যালয়টির উপপরিচালক আব্দুর রউফ ও কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, যবিপ্রবির সাবেক ভিসি আব্দুস সাত্তার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি কামাল উদ্দিন পরস্পর যোগসাজশে আসামি আব্দুর রউফকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগ দেন।
এতে আরও বলা হয়, আসামি আব্দুর রউফকে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বেতনভাতা বাবদ সর্বমোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা সরকারি কোষাগার হতে উত্তোলন/ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করার সুযোগ করে দিয়ে সরকারের ওই টাকার ক্ষতিসাধন করেছেন আসামিরা।
এজাহার থেকে জানা যায়, নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদের জন্য আবেদন করেন ২০ প্রার্থী। তাদের মধ্য থেকে যাচাই সাপেক্ষে চার প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে শর্তানুযায়ী পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বোর্ড অবৈধভাবে তাকে ওই পদে নিয়োগের সুপারিশ করে।
এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) নিয়োগ আহ্বান করলেও আব্দুর রউফকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আব্দুস সাত্তার নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর তথা প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে থেকে তাকে নিয়োগ দেন, যা নিয়োগবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিধি অনুযায়ী, বাছাই বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত ভিন্ন হওয়ায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য চ্যান্সেলরের কাছে পাঠানোর বিধান থাকলেও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি থেকে এবং রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি হয়েও বিষয়টি চ্যান্সেলরের কাছে পাঠাননি।