কুড়িগ্রাম প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪২ পিএম
আপডেট : ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৩৪ পিএম
প্রবা ফটো
ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী অঞ্চলে আগস্টের শেষ সপ্তাহে ফের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে জেলার সদর, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জেলার নদ-নদীর পানি আগামী দুই দিনে আরও কিছুটা কমবে। তবে ২২ ও ২৩ আগস্ট থেকে ব্রহ্মপুত্রের পানি আবারও বাড়তে পারে। আগামী ২৫-২৬ আগস্ট ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। এর ফলে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ ও চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের চর ও নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসব অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। উজানের পানি ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বাংলাদেশ হয়ে নেমে যাবে। ফলে ওই সময় জেলার সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। পানি বিপৎসীমায় পৌঁছালেও খুব বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। আশা করা হচ্ছে, এটাই এ বছরের শেষ বন্যা হতে পারে।’
সম্ভাব্য বন্যার খবরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার করা নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি রয়েছে।’
চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামে তিন দফা পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদ-নদী অববাহিকার চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এর মধ্যে গত জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি স্বল্পমেয়াদী বন্যার কবলে পড়ে জেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। আগস্টের শেষে আবারও বন্যা দেখা দিলে এটি জেলায় দ্বিতীয় দফায় বন্যা হবে।