বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ২৩:০৩ পিএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩ ২৩:১৪ পিএম
ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির। প্রবা ফটো
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ১১ জন ইউপি সদস্য অনাস্থা জানিয়েছেন। রবিবার (২০ আগস্ট) লিখিত অনাস্থা প্রস্তাবটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে দেওয়া হয়। প্রস্তাবের অনুলিপি জেলা প্রশাসকের কাছেও দেওয়া হয়েছে।
লিখিত অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেন ইউপি সদস্য বাবুল আকন, বাচ্চু মিয়া, নুরুল ইসলাম হাওলাদার, মোস্তফা কামাল হাওলাদার, আবুল কালাম তালুকদার, আতিকুর রহমান পিন্টু, খালেক বেপারী, আনোয়ার হোসেন, শামীম আলম, সংরক্ষিত আসনের (নারী) সদস্য আঁখি বেগম দুলু ও বেবি বেগম।
প্রস্তাবে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের সরকার মনোনীত ১১-১২ বছরের অভিজ্ঞ উদ্যোক্তাকে বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের জাহিদুল ইসলাম এবং মো. মামুনকে দিয়ে পরিচালনা করছেন। নির্বাচনের পর দেড় বছর অতিবাহিত হলেও কাউকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সরকারি কোনো চিঠি পরিষদের সদস্যদের সামনে উন্মুক্ত করেন না। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নাজমুল আলম নামে একজন যোগদান করলেও তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
তারা আরও উল্লেখ করেন, ট্যাক্সের রসিদ ছাপানোর তথ্য ইউপি সদস্য এবং সচিব কারও কাছেই প্রকাশ করেননি। চেয়ারম্যান এবং তার আত্মীয়স্বজনরা মিলে ট্যাক্স আদায় করেন। সেগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস অডিটে রাজস্ব আয় হিসেবে দেখানো হয়নি, যা চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্সের বই ইচ্ছেমতো ছাপিয়ে আত্মীয়স্বজন দিয়ে বিতরণ করে অর্থ আত্মসাৎ, ১৮০ জনের রেশন কার্ড অনলাইন করানোর জন্য জনপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা এবং বিগত ১২ জুন চিঠিতে বরাদ্দ ১ টন জিআর (সরকারি ত্রাণসহায়তার) চাল বিতরণ না করেই আত্মসাৎ করেন।
পরিষদের সকল সিদ্ধান্ত চেয়ারম্যান একাই নেন এবং সরকারি কোনো বরাদ্দ সঠিকভাবে বণ্টন করেন না। কাবিখা, কাবিটাসহ সরকারি কাজের নামে সিপিসি (চেয়ারম্যান প্রজেক্ট কমিটি) করে প্রাপ্ত বিল ওই কমিটি দিয়ে উত্তোলন করে নিজে কাজ করেন। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে জনগণকে হয়রানি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। তাদের (ইউপি সদস্য) সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। কেন আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করছে তা জানি না। হয়তো এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল চন্দ্র শীল বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’