রাজবাড়ী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৩৬ পিএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১৭ পিএম
মৃত গৃহবধূ রুনা খাতুন।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে রুনা খাতুন নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার (২০ আগস্ট) ভোরে মরদেহটি উদ্ধার করে পাংশা মডেল থানা পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়।
মৃত রুনা খাতুন পাংশার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ খামারডাঙ্গী গ্রামের কাতার প্রবাসী আনিছুর রহমানের স্ত্রী।
রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারী
পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের
জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।
গৃহবধূর চাচা শ্বশুর আতাহার মণ্ডল বলেন, ‘আমার ১০ বছর বয়সি নাতি (নিহত রুনার কন্যা) গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে তার মাকে পায়নি। সে দেখে তার দেড় বছর বয়সি ছোট ভাই কান্না করছে। বারান্দায় গিয়ে সে প্রতিবেশী মিলন শেখকে দেখতে পায়। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করে, আমার মা কোথায়? মিলন শেখ উত্তর দেয়, তোমার মা আমাদের বাড়িতে গিয়েছে। মাকে ডাকতে গেলে মিলন তার মুখ চেপে ধরে টয়লেটে আটকে রাখে। কিছুক্ষণ পরে টয়লেটের দরজা খুলে দিয়ে পালিয়ে যায় মিলন। এ সময় দড়ি দিয়ে পা বাঁধা অবস্থায় মাকে বাড়ির উঠানে পড়ে থাকতে দেখে সে। মায়ের কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে নেয়। প্রতিবেশীরা এসে দেখে তার মা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।‘
প্রতিবেশী মিলন শেখের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী চম্পা খাতুন বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আমি আর আমার স্বামী একসঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়ি। পরে আমার স্বামী কোথাও গিয়েছে কি না তা জানি না। আপনার স্বামী কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ সকালে আমার স্বামীকে নিয়ে গেছে।‘
চম্পা খাতুন আরও জানান, নিহত গৃহবধূর বাড়িতে তিনি কাজ করতেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ৬ মাস ধরে কাজ করতে পারেননি তিনি।
সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা জানান, মৃতের স্বজনরা থানায় অভিযোগ দিলে মামলা রুজু করা হবে। এ ঘটনায় মিলন শেখ নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।