× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিএনপির পদযাত্রায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলি, লাঠিচার্জ

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩ ২২:৫১ পিএম

আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৩৯ পিএম

বরগুনায় বিএনপির পদযাত্রায় লাঠিচার্জ। প্রবা ফটো

বরগুনায় বিএনপির পদযাত্রায় লাঠিচার্জ। প্রবা ফটো

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শনিবার (১৯ আগস্ট) সারা দেশে আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হবিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, বরগুনা, নাটোর ও নেত্রকোণায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির অন্তত তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে হবিগঞ্জে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বরগুনায় ২৫, নাটোরে ১৫, সিদ্ধিরগঞ্জে ৫ ও নেত্রকোণায় ৮ জন আহত হয়েছেন। 

শনিবার ঢাকাসহ দেশের সব মহানগর ও জেলায় বিএনপির এই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। 

ঢাকায় মহানগরের উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির যৌথ উদ্যোগে বিকালে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। নয়াপল্টন থেকে শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক হয়ে মগবাজার মোড়ে গিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হয়। এর আগে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এই মিছিল থেকে আবারও বার্তা দিতে চাই- এখনও সময় আছে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা মামলায় আমাদের যে নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হয়েছে তাদের সকলকে মুক্তি দিতে হবে। 

তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে চিকিৎসকদের পরামর্শের কথা জানিয়ে বলেন, সরকার এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করছে না। 

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য লিফলেট বিতরণকালে ছাত্রদলের কয়েকজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বক্তব্য রাখেন।

পদযাত্রায় আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, আতাউর রহমান ঢালী, আব্দুল কুদ্দুস, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, আসাদুজ্জামান রিপন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, নাসির উদ্দিন অসীম, নাজিম উদ্দিন আলম, রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী, আশরাফ উদ্দিন বকুল, রকিবুল ইসলাম বকুলসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা অংশ নেন। 

এদিকে শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র ‍যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে হবিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যেন রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত হয়েছে। হবিগঞ্জে বৃষ্টির মতো গুলি করা হয়েছে বিএনপির পদযাত্রায়। সেখানে অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।


হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত দুই শতাধিক

হবিগঞ্জ প্রতিবেদক জানান, পদযাত্রা কর্মসূচিকে ঘিরে হবিগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও গুলি ছোড়ে। এতে বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবসহ বেশ কয়েক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদযাত্রা কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে বিএনপি নেতাকর্মীরাও ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে।

সংঘর্ষে কতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং কী পরিমাণ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, এখনই বলা যাবে না। এ বিষয়ে আমরা পরে কথা বলব।


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সংঘর্ষ, আহত ৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

জানা যায়, বিকাল ৩টার দিকে পদযাত্রায় অংশ নিতে আসা সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে নেতাকর্মীরা রাস্তা থেকে সরে যান। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা আবারও লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। 

জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন জানান, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ দলের অন্তত পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। 

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তার পাশে অবস্থান নেওয়ার পর পুলিশ অতর্কিতে লাঠিচার্জ শুরু করে। নেতাকর্মীদের ওপর তারা টিয়ারশেল ও গুলি ছুড়েছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, অনুমতি ছাড়াই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জেলা বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যেতে বললে তারা আমাদের লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।


বরগুনায় লাঠিচার্জ, আহত ২৫

বরগুনায় বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জে ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলের দায়িত্বশীল নেতারা। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেনি। বরং পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে পদযাত্রা করার সময় তাদের সঙ্গে নেতাকর্মীদের কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়েছে। বরগুনা প্রেস ক্লাব চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, বরগুনা জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমবেত হয়। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পদযাত্রা বের হয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পদযাত্রাটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় বেশ কয়েক নেতাকর্মী আহত হন।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, পদযাত্রা নিয়ে প্রেস ক্লাব চত্বরে এলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পরে নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। এতে আমাদের কমপক্ষে ২৫ নেতাকর্মী আহত হন। 

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কোনো লাঠিচার্জ করিনি। তাদের নিজেদের ধাক্কাধাক্কিতে কেউ আহত হয়ে থাকতে পারেন। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সামনে এগোচ্ছিলেন। তাদের অফিসের সামনে যেতে বলা হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। কোনো লাঠিচার্জ হয়নি।


নাটোরে মুখোশধারীদের হামলা, আহত ১৫

নাটোরে পদযাত্রায় অংশ নিতে আসা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর শহরের বিভিন্ন স্থানে মুখোশধারীদের হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে সদরের কাফুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদসহ ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে পদযাত্রায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন কাফুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ এবং তার অনুসারীরা। এসময় নাটোর চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দুটি মাইক্রোবাস থেকে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা ধারালো হাঁসুয়া ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আবুল কালাম আজাদ, একই ইউনিয়নের যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ও ছাত্রদল সভাপতি তুহিনসহ ৫ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদের মধ্যে চারজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলায় আহত যুবদলের নেতাকমীরা। প্রবা ফটো

এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলার শিকার হয়েছে জেলা যুবদলের নেতা সুজাউল সুজা, যুবদল নেতা এনায়েত উল্লা মিলটন, শরিফুল ইসলাম, জাকির হোসেন, রেজাউল করিম, লিয়ন, ছাত্রদলের মোস্তফা আনাম, মোজাম্মেল হোসেন, ফিরোজ ও গোলাম মোস্তফাসহ ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, নাটোর সদর আসনে মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার অনুসারীরা বিভিন্ন সময়ে বিনা উস্কানিতে একের পর এক হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটাচ্ছে। 

নাটোর থানার ওসি নাছিম আহমেদ বলেছেন, নাটোর চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে হামলার খবর পেয়ে তিনি নিজে সেখানে গিয়ে কাউকে পাননি। 


নেত্রকোণায় ৬ নেতাকর্মী আটক, মামলা

নেত্রকোণায় পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে নাশকতা ও বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। শনিবার  সকাল ৯টার দিকে জেলা শহরের কুড়পাড় বনুয়াপাড়া এলাকা থেকে পদযাত্রাটি বের হয়ে আবু আব্বাস কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। এর পরপরই তাদের আটক করা হয়। 

আটক নেতাকর্মীরা হলেন- নেত্রকোণা সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সৈয়দ মোকসেদুল আলম রাজীব, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি সজল তালুকদার, সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার শাহেদ মুন্না, সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব সাফায়াত হোসেন, মদন উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অলী উল্লাহ্ ও আমতলা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য আব্দুল মান্নান।

এ ব্যাপার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, পদযাত্রা বানচাল করতে সরকারদলীয় লোকজন হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করে। এতে ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এখন আবার পুলিশ বাদী হয়ে আমাদের ৫ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। 

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলেও পুলিশ আমাদের ছয় নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমাদের ৩১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪৫০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফুল হক মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা