নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩ ২২:৩৭ পিএম
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাতের কাছে ধরা পড়েন ভুয়া চিকিৎসক অমর শীল। প্রবা ফটো
মানবিকে এইচএসসি পাস করে ‘এমবিবিএস’ পদবি লাগিয়ে দীর্ঘদিন মা ও শিশুদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ড পাওয়া অমর শীল চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার উলিপুর গ্রামের মৃত গৌরেন্দ্র শীলের ছেলে। শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট ও বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাতের কাছে ধরা পড়েন ভুয়া চিকিৎসক অমর শীল। তিনি বেগমগঞ্জের জেনারেল মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতেন। এ সময় সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজের অপরাধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. ইয়াসির আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অমর শীল ২০০৩ সালে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি ও ২০০৫ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি জেনারেল মা ও শিশু হাসপাতালের নিচতলায় ডা. মো. এনামুল হক নামে চার মাস ধরে রোগী দেখছিলেন। রোগীপ্রতি ৭০০ টাকা করে প্রতিদিন প্রায় ৩০-৩৫ জন রোগী দেখতেন। এর আগে তিনি মাইজদী ট্রাস্ট ওয়ান হসপিটালে চেম্বার করতেন বলেও জানান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে বেগমগঞ্জের জেনারেল মা ও শিশু হাসপাতালে অভিযানে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অমর শীলকে দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. ইয়াসির আরাফাত।
ইয়াসির আরাফাত বলেন, জেনারেল ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাক্তার এনামুল হক নামধারী ভুয়া চিকিৎসকের সঙ্গে চুক্তিপত্র বা তার সার্টিফিকেট/ডিগ্রির সনদপত্র দেখাতে পারেনি। তাই ভুয়া নাম-পদবি ব্যবহার করে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করার অপরাধে অমর শীলকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজের অপরাধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় বেগমগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস ও বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন।