ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩ ২২:২৭ পিএম
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ব্যবসায়ীর দোকান থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১১৬ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় উচাখিলা আলিনগর গ্রামের ধান-চাল ব্যবসায়ী রাজিপুরের ভাটিচরনওপারা গ্রামের আনিছ ও উচাখিলা ইউপির রামপুর গ্রামের মানিকের দোকানের তালা ভেঙে এসব চাল জব্দ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উচাখিলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম, ইউপি সদস্য আশরাফ, উপখাদ্য পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, মোবারক হোসেন, ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই রুহুল কাইয়ুম।
জানা যায়, শুক্রবার উচাখিলা ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে ২ হাজার ২০০ সুবিধাভোগীর মাঝে ২ বস্তা করে ১৫ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ শুরু হয়। এদিকে খাদ্যবান্ধব চাল কালোবাজারে বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের গোডাউনে মজুদ করে রাখা হয়েছে বলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও উপজেলা খাদ্য বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।
ইউএনওর নির্দেশনায় পরে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) সাইদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় উচাখিলা বাজারের ধান-চাল ব্যবসায়ী আনিছ ও মানিকের দোকানের তালা ভেঙে ১০৫ বস্তা ও একই বাজারের চাল ব্যবসায়ী মুস্তাকিমের দোকান থেকে ৮ বস্তা এবং ডিলার আব্দুল মালেকের দোকান থেকে ৩ বস্তা, মোট ১১৬ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।
উপজেলা উপখাদ্য পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩ বস্তা চাল কিনে নিয়ে রিকশায় করে যাচ্ছিলেন এক লোক। অভিযানের খবর পেয়ে ওই লোক চাল রাস্তায় ফেলে রেখেই চলে যান। পরে ওই চালও জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ১১৬ বস্তা চাল সরকারি খাদ্যগুদামে নেওয়া হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে চাল ব্যবসায়ী আনিছ ও মানিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। অপর ব্যবসায়ী মুস্তাকিম বলেন, আমার দোকান থেকে কার্ডধারী সুবিধাভোগীরা মোটা চালের বস্তা বিক্রি করে চিকন চালের বস্তা নিয়ে গেছেন।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার আব্দুল মালেকের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উচাখিলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজা জেসমিন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য খাদ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।