কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩ ২০:৩২ পিএম
ফাইল ফটো
প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার গুণগত মান সবেচেয়ে ভালো ময়মনসিংহ বিভাগে। তারপরেই রয়েছে ঢাকা বিভাগ। সবেচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে সিলেট বিভাগ। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ পরিচালিত জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) কক্সবাজারের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়। জাতীয় শিক্ষার্থী মুল্যায়ন-২০২২ এর জাতীয় প্রচারণা কৌশল শীর্ষক দিনব্যাপী এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শাহ রেজওয়ান হায়াত।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও ইউনিসেফের জরিপের তথ্যমতে, দেশের সব বিভাগে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার গুণগত মান যাচাইয়ে দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এই জরিপ করা হয়েছে। এই দুটি বিষয় হলো বাংলা সাহিত্য ও গণিত।
এতে দেখা গেছে প্রাথমিক শিক্ষায় শীর্ষে থাকা ময়মনসিংহ বিভাগের স্কোর ১১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকা বিভাগের স্কোর ১১৪ দশমিক শূন্য শতাংশ। এরপরে যথাক্রমে রংপুরের ১১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ, রাজশাহীর ১১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ, চট্টগ্রামের ১১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, খুলনার ১১০ দশমিক ২০ শতাংশ ও বরিশালের স্কোর ১০৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর সবার শেষে থাকা সিলেট বিভাগের স্কোর ১০৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।
প্রকাশিত এই তথ্য প্রাথমিক শিক্ষার কৌশল গ্রহণে সহায়ক হবে বলে মনে করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক রীতি ও নিয়ম মেনেই এই জরিপ পরিচালিত হয়। প্রতি দুই বছর পরপর এই জরিপ হওয়ার কথা। করোনা মহামারির কারণে ২০১৭ সালের পর তার বন্ধ হয়ে যায়। সবশেষ ২০২২ সালে এটি করা হলো। ফলে জরিপে যে ব্যবধান উপস্থাপন করা হয়েছে তা ৫ বছরের। ২০২৪ সালে আবারও জরিপ করা হবে। এই জরিপ সাহিত্য (বাংলা) ও গণিত বিষয়কে নিয়ে করা। আন্তর্জাতিকভাবে এই দুইটি বিষয়ের সঙ্গে বিজ্ঞান বিষয়ও যুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশেও তা করার চেষ্টা চলছে।’
শিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের ২০২১ মিশন সফল উল্লেখ করে সচিব ফরিদ বলেন, ‘এই জরিপে ফল, মন্তব্য জাতীয় পর্যায়ে উপস্থাপন করে আগামীতে আরও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ সম্ভব হবে। প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো শিশুবান্ধব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলাধুলার জায়গা রাখা হচ্ছে। ঝরে পড়া রোধে শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের শিক্ষা বিষয়ক প্রধান দীপা শংকর, ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা এবং ডেপুটি টিম লিডার মো. গোলাম কিবরিয়া। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার শিক্ষা বিভাগের ৯০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।