× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

এডিপির প্রকল্পে অনিয়মে জনপ্রতিনিধিসহ দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৩ ২১:২৪ পিএম

আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৩ ২২:০১ পিএম

এডিপির প্রকল্পে অনিয়মে জনপ্রতিনিধিসহ দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে জনপ্রতিনিধি ও দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। ৬ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উপজেলা চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশিদা আক্তার এবং উপজেলা প্রকৌশলী ওবায়দুর রহমানকে এ কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়।

বুধবার (১৬ আগস্ট) প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (দিনাজপুর) মোখলেছুর রহমান। এর আগে ১২ জুলাই উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে সরেজমিনে তদন্ত শেষে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রকল্প গ্রহণের সময় বিশেষ কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপস্থিত না থাকায় সভা পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), যা সঠিক হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ এ সভা পিছিয়ে দেওয়া যেত। ইউএনওর অনুপস্থিতিতে প্রকল্পগুলো গ্রহণ করা হয় এবং উপজেলা প্রকৌশলী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করেই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন বরাদ্দের ৩০ শতাংশ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) এবং কোটেশনের মাধ্যমে একবারে ভৌত অবকাঠোমো নির্মাণের জন্য ১০ লাখ এবং বছরে মোট ৬০ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবে। এতে সর্বশেষ বরাদ্দকৃত ৫০ লাখ পুরোটাই পিআইসি ও কোটেশনের মাধ্যমে প্রকল্প ও বাস্তবায়ন সঠিক হয়নি। কারণ ২০২২-২৩ অর্থবছরের আগেও পিআইসি ও কোটেশনের মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। 

এ ছাড়া কমিটির সদস্যদের কর্তৃক কাজ শুরুর ও শেষের সভাসংক্রান্ত কোনো রেজল্যুশন নথিতে পাওয়া যায়নি। চূড়ান্ত বিলের জন্য আবেদনে প্রকল্প কমিটির সভাপতি কর্তৃক স্বাক্ষর হয়নি। অথচ এ আবেদনের ভিত্তিতে বিল পরিশোধ করা হয়েছে। নথিতে প্রকল্পের শুরুর ও শেষের ছবি না থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি অনেক ক্ষেত্রেই নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রায় প্রকল্পের কাজই শেষ হয়নি, অথচ পুরো বিল পরিশোধ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে মন্তব্যের ওপর প্রমাণসহ ব্যাখ্যা ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. ওবায়দুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি। তৎকালীন ইউএনও রাশিদা আক্তারকে ফোনে বিষয়টি অবগত করলে তিনি কল কেটে দেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী বলেন, ‘প্রকল্পে কোনো অনিয়ম হয়নি। কাজের প্রমাণ হিসেবে ছবি ও ভিডিও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা