সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৩৪ পিএম
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৪ পিএম
সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন একে এম শামীম ওসমান। প্রবা ফটো
আগামী দুই থেকে তিন মাসে খুনিরা অতীতের চেয়েও ভয়ংকর কিছু ঘটানোর চেষ্টা করবে বলে মনে করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, ‘খুনিরা অতীতের মতো ভয়ংকর ঘটনার চেষ্টা করবে। আর সেজন্য আমাদের সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে লন্ডনে বসে এবং মৌলবাদী শক্তির উত্থানের জন্য যা যা পরিকল্পনা করার তাই করছে।’
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘৭৫ এর ১৫ই আগস্টে একসঙ্গে ২৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত যে দুই (শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা) বোন সেদিন জার্মানিতে ছিলেন। সেদিন সব স্বপ্ন ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা স্বপ্ন দেখা ভুলে গিয়েছিলাম। আল্লাহ তায়ালার হুকুমে শেখ হাসিনা থাকাতে বাংলাদেশের মানুষ আবার স্বপ্ন দেখছে এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশটা আমাদের সবার, দেশটাকে বাঁচাতে হবে। বঙ্গবন্ধু চলে যাওয়ার পর দেশ পিছিয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে চলে গেলে দেশ আর সামনে আগাতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ শেখ হাসিনা। তিনি স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ কাজ করেন। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করছে। আমাদের সবাইকে তার পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন।’
দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যু নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য। বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে এমন কথা বলে ২১ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। যারা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে বলে ইসলামকে ব্যবহার করে মানুষকে হত্যা করে তাদের কাছে এর চেয়ে বেশি ভালো কিছু আশা করা যায় না। যারা ৭১ সালে আমাদের ৩০ লাখ মানুষের রক্ত নেওয়ার জন্য পাকবাহিনীকে সাহায্য করেছে, তাদের কাছে এর চেয়ে ভালো আশা করা যায় না। পৃথিবীর কোনো দেশে নাই যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল তারা রাজনীতির সুযোগ পায়। আমাদের দেশই একটা অভাগা দেশ যেখানে ওরা এখানও কথা বলে যাচ্ছে। আর আমাদের তরুণ সমাজ চুপ করে তাদের কথা শুনছে।’