হত্যা মামলার আলামত গায়েব
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৩ ২০:০১ পিএম
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৩ ২০:৩৫ পিএম
তদন্ত কর্মকর্তা রবিউল আওয়াল। ছবি : সংগৃহীত
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ও শওকত আলী হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রবিউল আওয়ালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। মিরপুরে আলোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া গুরুত্বপূর্ণ আলামত গায়েব করায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
২ আগস্ট কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক লাবনী সুলতানা পলি প্রতিবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন বলে রবিবার (১৩ আগস্ট) বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহিল মারুফ জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৯ জুলাই রাতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার চক গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে শওকত আলীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলে মামলার ২ নং আসামি ওয়াকিবুল ইসলাম লিপসনের মোবাইল ফোন পড়ে যায়। সেই ফোন বাদীপক্ষ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রবিউল আওয়ালকে দেয়। মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত মোবাইল ফোন নিজ হেফাজতে নিয়ে জব্দ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করে এসআই তা মিরপুর থানার ডেক্স থেকে চুরি হয়েছে মর্মে মিথ্যা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে মামলার এই আলামত সুকৌশলে সরিয়ে ফেলেন। পরে মামলার আইনজীবী মারুফ বিষয়টি কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে রবিউল আওয়ালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয় এবং একই সঙ্গে বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালত কুষ্টিয়ার সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেন। সিআইডি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ২ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে বিচারক তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন।
আইনজীবী মারুফ বলেন, ’এসআই রবিউল আওয়াল শুধু দায়িত্বে অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় সীমাবদ্ধ থাকত। কিন্তু তিনি হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামিকে এই মামলার দায় থেকে বাঁচানোর জন্য আলামত গায়েব করে সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ করেছেন।’
ভেড়ামারা থানার ওসি জহিরুল ইসলাম বলেন, ’আদালতের দেওয়া আদেশের বিষয়টি আমি এখনও জানি না। আদালতের আদেশ হাতে পাওয়া মাত্র আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’