নেত্রকোণা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৩ ২১:৫২ পিএম
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৩ ২১:৫৭ পিএম
আটক ইউপি সদস্য সবুজ মিয়া । প্রবা ফটো
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ‘চুরির অপবাদে’ সালিশে এক কিশোরকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া ও জরিমানা আদায়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার সরাপাড়া বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন বলাইশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সবুজ মিয়া ও স্থানীয় মাতব্বর আবু তাহের।
শনিবার (১২ আগস্ট) প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী হোসেন। তিনি জানান, গত বুধবার সকালে সরাপাড়া গ্রামের বাজারে কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে ওইদিন রাতেই নির্যাতনের শিকার কিশোরের মা বাদী হয়ে মামলা করেন। আটকদের সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ আগস্ট রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই কিশোরকে তার মা মোবাইলে টাকা রিচার্জের জন্য স্থানীয় সরাপাড়া বাজারে পাঠান। বাড়ি ফেরার পথে চা দোকানদার মতিউর রহমান চোর বলে কিশোরকে ধরে বাজারের ব্যবসায়ী কামাল মিয়ার দোকানে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে মতিউর রহমান, আবু তাহের, সবুজ মিয়া, কামাল মিয়া, হাদিস মিয়া ও ফেরদৌস মিয়াসহ বেশ কয়েকজন মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে রাতভর আটকে রাখে। পরদিন সকাল ৯টার দিকে ইউপি সদস্য সবুজ মিয়ার নেতৃত্বে বাজারে সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে কিশোরকে বেত্রাঘাত করে মাথা ন্যাড়া ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।