নাটোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৩ ১৬:১৮ পিএম
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৩ ১৬:৫৮ পিএম
গ্রেপ্তার হোসনে আরা। প্রবা ফটো
নাটোরের বড়াইগ্রামে নিখোঁজের পাঁচদিন পর প্রেমিকার বাড়ির আঙিনায় পুঁতে রাখা যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রেমিকাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে উপজেলার জলন্দা গ্রাম থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই যুবকের নাম- শাহীন শাহ। তিনি সদর কাফুরিয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ এলাকায় বসবাস করতেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন হোসনে আরা ও তার চৌদ্দ বছরের ছেলে। হোসনে আরা বড়াইগ্রামের জলন্দা গ্রামের প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী।
শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার বলেন, ছয়মাস আগে নাটোর আদালতে হোসনে আরার সঙ্গে মহুরি শাহীন শাহের পরিচয় হয়। এরপর তারা বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুদিন ধরে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। পরে হোসনে আরা হত্যার পরিকল্পনা করেন। গত ৭ আগস্ট শাহীন শাহকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর হোসনে আরা চেতনানাশক মিশ্রিত খাবার খাওয়ালে অচেতন হয়ে পড়েন শাহীন। পরে প্যান্টের বেল্ট পেঁচিয়ে শাহীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর হোসনে আরা টিউবওয়েল মেরামতের কথা বলে বাড়ির আঙিনায় ১০ ফুট গর্ত করেন। ছেলের সহায়তায় শাহীনের মরদেহ ওই গর্তে পুঁতে রাখেন।
এসপি আরও বলেন, গত ৭ আগস্ট শাহীন বাড়িতে ফিরে না আসায় তার চাচা আকতার হোসেন নাটোর সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। র্যাব ক্যাম্পেও একটি অভিযোগ করা হয়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হোসনে আরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। তার তথ্যের ভিত্তিতে মাটি খুঁড়ে শাহীনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় দুজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় হোসনে আরা ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। দুপুরের পর গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতে নেওয়া হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করবে বলে জানান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।