মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি
মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০৮ পিএম
আপডেট : ০৯ আগস্ট ২০২৩ ১৫:১১ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা। ফাইল ছবি
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মার শাখা নদীতে বালুবাহী নৌযানের ধাক্কায় পিকনিক যাত্রীদের ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ শিশু নাভার সন্ধান মেলেনি। তবে এরই মধ্যে উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। শিশুটিকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় বুধবার (৯ আগস্ট) পঞ্চম দিনের মতো নদীর তীরে ভিড় করছেন স্বজনরা।
গত সোমবার ট্রলারডুবে যাওয়া স্থান রসকাঠির এক কিলোমিটার ভাটিতে সুবচনী বাজারের কাছ থেকে নাভার বড় ভাই তুরানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নাভার খোঁজে পদ্মার শাখা নদীর আশপাশে অপেক্ষায় রয়েছে স্বজনরা। দুই সন্তানকে হারিয়ে পাগলপ্রায় নাভার মা শান্ত বেগম।
নদীর পাড়ে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় নাভার মায়ের। তিনি বলেন, ‘আমার নাভায় কই হারাইয়া গেল। ওই তোরা আমার নাভারে বুকে আইন্না দে। পাঁচ দিন হইয়া গেল নাভারে এহনো পাইলি না। নাভারে না উদ্ধার কইরা প্রশাসক কেন উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করে দিল। আমার নাভারে এহন কেমনে খুঁইজা পামু। আমি আমার নাভারে চাই।’
টলারডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেলেও একমাত্র নাভাই নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনার দিন রুরান ও নাভা তার মা শান্ত বেগমের সঙ্গে মাওয়ায় পিকনিকে যায়। ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মা শান্ত বেগম বেঁচে গেলেও নিখোঁজ হয় তুরান ও নাভা। নাভা ও তুরান সিরাজদিখান উপজেলার খিদিরপুর এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো. আরিফ হোসেনের সন্তান।
মুন্সীগঞ্জ লৌহজং উপজেলা মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মাহবুবুর রহমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, এখন একমাত্র শিশু নাভা নিখোঁজ রয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৭২ ঘণ্টার উদ্ধারকার্যক্রমের শেষ হয়েছে।
গত শনিবার রাত ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকায় ডহরী-তালতলা খালে বালুবাহী নৌযানের ধাক্কায় ৪৭ যাত্রী নিয়ে পিকনিকবাহী ট্রলারডুবে যায়। এ ঘটনায় ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ৩৭ জনকে। এই ঘটনায় বাল্কহেডের মালিক, সুকানিসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার ৫ দিনেও মামলার কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।