কুষ্টিয়া প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৩ ০০:৪৩ এএম
আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০২৩ ১১:৫০ এএম
বিদ্যালয়ের ছাদে পাঁচ ছাত্রীর ধূমপানের দৃশ্য ফোনে ভিডিও করেন দুই শিক্ষক। ছাত্রীদের ডেকে মারধর করার পর সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। সেই অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে জিনিয়া খাতুন নামে এক ছাত্রী ‘আত্মহত্যা’ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় অন্য এক ছাত্রী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্কুলছাত্রী একই গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে ও সুলতানপুর মাহতাবুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
নিহত ছাত্রীর মামা জাহিদ হোসেন বলেন, পাঁচ ছাত্রী বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে স্কুলের ছাদে ধূমপান করছিল। সেখানে আমার ভাগনি জিনিয়াও ছিল। সিগারেট খাওয়ার দৃশ্য বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লাল্টু ও ওয়ালিউর রহমান তাদের মুঠোফোনে ভিডিও করেন। পরে ছাত্রীদের ডেকে মারধর করে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। সেই সঙ্গে টিসি দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়াসহ অভিভাবকদের জানানোর ভয় দেখান। বিদ্যালয় ছুটির পর আমার ভাগনি বাড়িতে এসে নিজের ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা ভুল করতেই পারে, তাই বলে কি শিক্ষকরা এভাবে ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাবেন? আমি দুই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করছি।
বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক ওয়ালিউর রহমান ও লাল্টুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুর রশিদ বলেন, আমি বিদ্যালয়ের বাইরে ছিলাম। একজনের মাধ্যমে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাটি জেনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, থানার দুজন অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তারা প্রাথমিক তদন্ত করেছেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।