মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি
মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২০:৪০ পিএম
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৩ ২০:৫৩ পিএম
ফাইল ছবি
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে ডহরী-তালতলা পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় সোমবার (৭ আগস্ট) আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ওই ঘটনায় নিহতের সংখা দাঁড়াল ৯ জনে। এখনও নাভা নামে ৫ বছর বয়সি এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৬টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে সুবচনী বাজারসংলগ্ন এলাকায় পদ্মার শাখা নদীতে শিশু তুরানের (৭) মরদেহ ভেসে উঠলে দমকল বাহিনীর সদস্যরা তাকে ওপরে তুলে নিয়ে আসে। পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় অপর শিশু মাহির (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশ মিটার দূরে তার মরদেহ ভেসে উঠেছিল। তুরান সিরাজদিখান উপজেলার খিদিরপুর এলাকার সিঙ্গাপুরপ্রবাসী আরিফ হোসেনের ছেলে। মাহির একই এলাকার আফসার হোসেনের ছেলে।
লৌহজং ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কায়েস আহম্মেদ মরদেহ দুটি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিখোঁজের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর টিম এখনও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
মামলার আসামি যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা
রবিবার ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে মো. রুবেল শেখ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে যে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন, তাদের মধ্যে ড্রেজার-বালু ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা জাহিদ শিকদার ও ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ চোকদার পাপ্পুর নাম রয়েছে। জাহিদ শিকদার সিরাজদিখান উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পারভেজ চোকদার সিরাজদিখান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। মামলায় বাল্কহেডের মালিক ও সুকানিকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মইনুল হোসেন নাহিদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, জাহিদ শিকদার উপজেলা যুবলীগের সদস্য আর পাপ্পু চোকদার ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তারা দুজন আগে বালুর ব্যবসা করতেন, এখন করেন না। তবে পাপ্পু ঠিকাদারি করেন। তাদের দুজনকে এই মামলায় পুলিশ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ’এক দারোগার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। এই বিরোধ এখানে কাজে লাগানো হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে দলের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া চলছে।’
শনিবার (৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া ইউনিয়নের রসকাঠি এলাকায় ডহরী-তালতলা খালে বাল্কহেডের ধাক্কায় ৪৭ যাত্রী নিয়ে পিকনিকবাহী ট্রলার ডুবে যায়। এ ঘটনায় বাল্কহেডের মালিক, সুকানিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।