রাতে হাওরে পথ হারিয়ে ৯৯৯-এ ফোন, শতাধিক পর্যটক উদ্ধার

হাওরে সারা দিন ঘুরে ফেরার পথে রাত হয়ে যায়। শতাধিক পর্যটক নিয়ে অন্ধকারে একই জায়গায় নৌকা নিয়ে মাঝি ঘুরতে থাকেন ঘণ্টা দুয়েক ধরে। একপর্যায়ে বুঝতে পারেন রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে পথ হারিয়েছেন তারা। বিপদ আঁচ করতে পেরে জাতীয় জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহযোগিতা চান পর্যটকরা। খবর পেয়ে ওই নৌকার শতাধিক যাত্রীকে উদ্ধার করছে নৌ পুলিশ।

শনিবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার আইনালঘোফ এলাকার মেঘনা নদীতে।

নৌ পুলিশ কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তানভীর ভূইয়া প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গতকাল শনিবার সকালে ৪৫টি মোটরসাইকেলে করে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার টেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই এলাকার ১০৭ জন পুরুষ কিশোরগঞ্জে হাওর ভ্রমণে যান। বাজিতপুর পাটুলিঘাটে মোটরসাইকেল রেখে নৌকায় করে তারা অষ্টগ্রাম হাওরে ভ্রমণে যান। সারা দিন হাওর ভ্রমণ শেষে অষ্টগ্রাম থেকে ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকায় করে বাজিতপুরের পাটুলিঘাটে ফিরছিলেন তারা।

পথে রাত হয়ে যাওয়ায় মেঘনা নদীতে পথ হারিয়ে ফেলে নৌকাটি। পরে নৌকার যাত্রীরা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহযোগিতা চান। পরে নৌ পুলিশ কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের সদস্যরা গিয়ে বাজিতপুর উপজেলার আইনালঘোফ এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করেন।

টেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সারা দিন হাওরে ঘুরে ফেরার সময় রাত হয়ে যায়। রাতে নৌকার মাঝি পথ হারিয়ে দুই ঘণ্টা ধরে একই স্থানে ঘুরতে থাকেন। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে দ্রুত নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাদের রাত সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার করে পাটুলিঘাটে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় আমাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

নৌ পুলিশ কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তানভীর ভূইয়া বলেন, ‘৯৯৯-এ কল পাওয়ার পর দ্রুতই আমাদের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে পাটুলিঘাটে পৌঁছে দিয়েছি। নৌকায় শতাধিক পর্যটক ছিল। তাদের কারও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’