নিখোঁজদের সন্ধানে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধারকাজ চলছে

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। রবিবার (৬ আগস্ট) সকাল ৬টায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ-এর ডুবুরিদল উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে। সকাল থেকেই নিখোঁজদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে ভিড় করছেন। তবে এ প্রতিবেদন লেখার সময় সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কারও খোঁজ মেলেনি।

মুন্সীগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমাস খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনায় ধাক্কা দেওয়া বাল্কহেডের একজনকে রাতেই আটক করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক তার পরিচয় জানা যায়নি। তবে বাল্কহেডের চালক পালিয়ে গেছে। ট্রলারডুবিতে হতাহতের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে লৌহজং উপজেলার ডহরি তালতলা নদীতে একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় রাতের অভিযানে এক পরিবারের চার সদস্যসহ আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ছয়জন। তাদের বাড়ি সিরাজদিখানের লতব্দি ইউনিয়নসহ আশপাশের গ্রামে। নিখোঁজদের সন্ধানে গভীর রাত পর্যন্ত প্রথম দিনের উদ্ধার কার্যক্রম চলে।

ঘটনার পর লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমাম হোসেন জানান, ট্রলারটিতে ৪৭ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই পিকনিকে গিয়েছিলেন। লৌহজংয়ের মাওয়া পদ্মাসেতু এলাকা থেকে ঘুরে ফেরার পথে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। যাত্রীদের মধ্যে অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও প্রাণ হারান আটজন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ছয়জন।

তদন্তে কমিটি

ট্রলার ডুবে হতাহতের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আরাকে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।