লৌহজংয়ে পিকনিকের ট্রলারডুবি
মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৩ ২২:৩৮ পিএম
আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৩ ০০:৪৪ এএম
নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। প্রবা ফটো
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন একপরিবারের সদস্য।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ডহরি তালতলা খালে এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ছয়জন।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত দুই শিশুসহ আটজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। শিশুরা হলো ৫ মাসের হুমাইরা ও ৮ মাসের সাবিয়ান। এ ছাড়া পপি আক্তার, এপি, মাকসুদা, রাকিবুল, সাকিবুল ও সাজিবুল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে এক পরিবারের সদস্যরা হলেন মা এপি ও তার তিন ছেলে রাকিবুল, সাকিবুল ও সাজিবুল। নিহতদের বাড়ি সিরাজদিখানের লতব্দি ইউনিয়নসহ আশপাশের গ্রামে। মরদেহগুলো টঙ্গীবাড়ি ও সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে এক পরিবারের চার সদস্যের মরদেহ। স্বজনদের আহাজারিতে সেখানে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
ওসি ইমাম হোসেন জানান, ট্রলারটিতে ৪৭ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই পিকনিকে গিয়েছিলেন। বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ৬ জন। বাকিরা সাঁতরে তীরে ওঠেন। নিখোঁজদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতা চালাচ্ছে।
ওসি ইমাম হোসেন আরও জানান, ট্রলারটি লৌহজংয়ের মাওয়া পদ্মাসেতু এলাকা থেকে ঘুরে সিরাজদিখানে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা। ডহরি তালতলা খালের সরকাটি এলাকায় বিপরীতমুখী বাল্কহেড ধাক্কা দিলে এটি ডুবে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় মনির হোসেন জানান, বাল্কহেডটি ট্রলারটির উল্টোদিক থেকে আসছিল। ট্রলারটিকে সাইড থেকে ধাক্কা দিলে মুহূতেই সেটি কাত হয়ে ডুবে যায়। যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয়রা নদে ঝাপিয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর রিপন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমাস
খান। এ সময় জেলা প্রশাসক নিহতদের দাফন ও কাফনের জন্য স্বজনহারা প্রতিটি পরিবারকে ২৫
হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।